প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রির মতো এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছু টার্মস (SEO Terms or Grocery ) বা আক্রনিমস ব্যবহার হয়।
নতুন কেউ এসইও সম্পর্কে জানতে শুরু করলে, যে সব বিষয়ে সবচেয়ে ঝেমেলায় পড়েন তার মধ্যে এসইও টার্মগুলি না বুঝতে না পারা অন্যতম। এসইও- তে ১০০+ টার্মস আছে, যা সম্পর্কে না জানলে বা বুঝলে এসইও শেখা কঠিন লাগে।
এসইওর জগতে এইসব সংক্ষিপ্ত শব্দের (acronyms) বা পরিভাষার ছড়াছড়ি। সম্ভবত এ কারণেই SEO নতুনদের কাছে জটিল মনে হয়। তাই, একজন বিগিনার হিসেবে আপনাকে প্রথমে এই শব্দ ও শব্দ সংক্ষেপ সম্পর্কে ধারনা নিতে হবে। বলাবাহুল্য, এসইও শিখতে কতদিন সময় লাগবে এটা অনেকাংশে নির্ভর করবে এই Terms গুলি আপনি কত দ্রুত রপ্ত করছেন তার উপরে।
আসুন শুরু করি...
SEO-র টার্মস শেখা আর নতুন একটি ভাষা শেখা একই কথা। কীন্তু, মনেরাখা কষ্টকর হলেও, একজন এসইও এক্সপার্টের ক্যারিয়ারের পাকাপোক্ত করতে হলে এটি জানতে হবে। আর আপনি যদি নতুন এসইও শিখতে চান তা হলে এই টার্মগুলি মনেরাখার ও বুঝার চেষ্টা করুন।
সার্প (SERP) এর পুরো হল search engine rank page. অর্থাৎ কোন কীছু লিখে সার্চ দিলে, রেজাল্ট যে পেজে আসে, সেই পেজকে সার্পপেজ বলে।
কোন ওয়েবপেজ সার্চ ইঞ্জিন এর র্যাঙ্কিং এ কোথায় স্থান নির্ধারণ করা উচিত তা নির্ধারণ করতে ,সার্চ ইঞ্জিনগুলি বিভিন্ন প্রোগ্রাম ব্যবহার হয়। শুধুমাত্র, Google এর এমন কয়েকশ অ্যালগরিদম (Algorithm) আছে।
Google-এর বিখ্যাত অ্যালগরিদম আপডেট, সার্চ ইনডেক্স পরিবর্তন এবং রিফ্রেশের ইতিহাস দীর্ঘ। গুগল সার্চ সব সময় পরিবর্তিত হয়. 2020 সালে, Google সার্চের জন্য 4,500টি পরিবর্তন করেছে। এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছে এর র্যাঙ্কিং সিস্টেম, ইউজার ইন্টারফেস এবং আরও অনেক কিছুর পরিবর্তন। এছাড়াও, Google 600,000-এর বেশি পরীক্ষা চালিয়েছে। তার মানে Google সার্চ পরিবর্তন হচ্ছে, গড়ে প্রতিদিন 12 বার।
লিংক যা আপনার ওয়েবসাইটেকে দেয়া হয়। এগুলি অভ্যন্তরীণ হতে পারে (আপনার সাইটের একটি পেজ থেকে অন্যপেজে লিংক দিচ্ছে) বা বহিরাগত (আপনার সাইটে অন্য ওয়েবসাইট থেকে)।
ব্যাকলিংককে ইনবাউন্ড ও ইঙ্কামিং লিংক ও বলে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ র ্যাংকিং ফ্যাক্টর।
ইন্টারনাল লিংক হলো - একটি ওয়েবসাইটের একটি পেজ থেকে অন্য একটি পেজে লিংক করা। ইন্টারনাল লিংক ও ব্যাকলিংক এর মধ্যে পার্থক্য হলো - ইন্টারনাল লিংক একটি ওয়েবসাইট এর অন্য পেজের মধ্যে করা হয়। আর ব্যাকলিংক একটি সাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে লিংক দেওয়া।
গুগলের SERP -এ শীর্ষস্থানে পৌঁছানোর জন্য ব্যবহৃত নৈতিক এসইও কৌশলগুলই হল হোয়াইট হ্যাট এসইও। এই কৌশলগুলি সার্চ ইঙ্গিনের দেয়া গাইড অনুসারে করা হয় এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার ও চাহিদার উপর ফোকাস করে গাইড তৈরি করা হয়।
হাইলাইট করা অংশ যা কিছু Google অনুসন্ধান ফলাফলের শীর্ষে প্রদর্শিত হয়, যা অবস্থান 0 নামে পরিচিত৷
স্প্যামারদের দ্বারা ব্যবহৃত কৌশলগুলির একটি সেট। এসইওর পুরানো দিনগুলিতে, এইসব অনৈতিক কৌশলগুলি ওয়েবসাইটগুলিকে অনুসন্ধানের ফলাফলের প্রথম পৃষ্ঠায় দ্রুত পৌঁছাতে সহায়তা করত, তবে অ্যালগরিদমগুলি আরও স্মার্ট হয়ে উঠেছে। আপনি ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কৌশল ব্যবহার করে পেনাল্টি খেতে পারেন।
আপনার ওয়েবসাইটে শতকরা কত ভাগ মানুষ একটি মাত্র পেজ ভিজিট করে সেটাকে বাউন্স রেট বলে । উদাহরণস্বরূপ: যদি 100 জন মানুষ আপনার ওয়েবসাইটটিতে যায় এবং তাদের মধ্যে 50 জন কেবল একটি পেজ ভিজিট করে তবে আপনার বাউন্সের হার 50% হবে। গুগল অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে অতি সহজে বাউন্সরেট সম্পর্কে জানা যায় ।
গুগলে কোনও ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কীংয়ের সম্ভাবনা নির্ধারণ করতে Moz.com এর তৈরি করা একটি মেট্রিক হল ডোমেন অথোরিটি (DA)।এর স্কেল ০-১০০। শক্তিশালী ওয়েবসাইটগুলি স্কোর বেশি হয়।
ডোমেন অথোরিটি , রুট ডোমেইন এবং মোট লিংক সংখ্যা ও আরও অনেক বিষয় দ্বারা মূল্যায়ন বা গণনা করা হয়। এই স্কোরটি Compitetor Analysis করার সময় বা কোনও ওয়েবসাইটের "র্যাঙ্কীং শক্তি" বিশ্লেষণ করার সময় ব্যবহার করা যেতে পারে।
সুতরাং, আপনার স্কোরটি 70 থেকে 80 এর থেকে বাড়ার চেয়ে 20 থেকে 30 এ বৃদ্ধি করা অনেক সহজ।
এটিও গুগলে কোনও পেজের র্যাঙ্কীংয়ের সম্ভাবনা নির্ধারণ করতে Moz.com এর তৈরি করা একটি মেট্রিক।এর স্কেল ০-১০০। এখানে, পেজ অথোরিটি (PA) হল কোন ডোমেন এর যে কোন একটি পেজ এর জন্য। ওই পেজ এর লিংক এর উপর ভিত্তি করে এটা দেওয়া হয়। তাই, একটি সাইটের বিভিন্ন পেজের PA আলাদা হয়।
এই স্কোর যা পূর্বাভাস পাওয়া যায়, যে একটি নির্দিষ্ট পেজ সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলের পৃষ্ঠায় (SERP) কত ভাল স্থান পাবে।
গুগল পেনাল্টি হল গুগল প্রদত্ত শাস্তি। যা সার্চে আপনার র্যাঙ্কীং নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। এগুলিকে ম্যানুয়ালি বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে (অ্যালগরিদম এর প্রভাবে ) ব্ল্যাক হ্যাট এসইও-র কৌশলগুলির ব্যবহার করার জন্য দেয়া হয়।
Search ইঞ্জিনে তথ্য সন্ধান করার সময় আপনি যে শব্দগুলি প্রবেশ করবেন সেটা কীওয়ার্ড । উদাহরণস্বরূপ: "এসইও কী?" বা "নতুনদের জন্য এসইও"।
একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, সাধারণত এক মাসে কতবার একটি কীওয়ার্ড সার্চ করা হয়।
CPC এর পূর্ণ রূপ হলো Cost-per-click. এটি হল একটি অনলাইন বিজ্ঞাপনের বিজ্ঞাপনদাতাদের প্রতি অ্যাড ক্লিকের জন্য কতো টাকা খরচ করতে হবে তার একটা আনুমানিক হিসাব। কোন কিওয়ার্ড এর CPC এক ডলার মানে এই কিওয়ার্ডে অ্যাড দিলে, মানুষ যে ক্লিক করবে তার প্রতিটিতে বিজ্ঞাপনদাতাদের ১ ডলার খরচ হতে পারে।
তাদের অনুসন্ধান ফলাফলের পৃষ্ঠায় (SERP) আপনার ওয়েবসাইট যারা দেখেছেন তাদের সংখ্যা। আপনি ইমপ্রেশন সম্পর্কীত তথ্য গুগল সার্চ কনসোলে খুজে পাবেন।
একজন ব্যবহারকারী কেন একটি সার্চ করেন তার কারণ বোঝায়।
ফলাফলগুলি অনুসন্ধানে লোড হওয়ার পরে আপনি যে Title ও Description দেখেন। মেটা শিরোনামটি ক্লিকযোগ্য । মেটা টাইটেল ও ডিসক্রিপ্সন অপ্তিমাইজ করা জরুরি কারন এটা CTR বাড়াতে সাহায্য করে।
এমন মানুষের শতাংশ যাঁরা আপনার পৃষ্ঠাকে কোনও অনুসন্ধান ইঞ্জিনে র্যাঙ্কীং দেখেছেন এবং লিংকটি ক্লিক করেছেন। উদাহরণস্বরূপ: যদি 100 জন মানুষ আপনার ওয়েবসাইট দেখতে এবং 2 জন মানুষ ক্লিক করে, তবে আপনার অর্গানিক ক্লিক-থ্রো রেট (CTR) হবে 2%।
আপনি প্রতিটি পোস্ট বা পেজের URL সার্চ ইঞ্জিনে কোন অবস্থানে আছে। ধরুন, কোন কীওয়ার্ড এ সার্চ দিলে আপনার সাইট ৫ নম্বরে আসে তাহলে, ওই কীওয়ার্ড-এ আপনার ওয়েব সাইটের র্যাঙ্কীং হল ৫।
কোনও প্রশ্নের সন্ধানকারী ব্যক্তির উদ্দেশ্য। তারা কী কোনও পণ্য কীনছেন, কোনও সাধারণ প্রশ্নের উত্তর খুজতে চাচ্ছেন বা শিক্ষামূলক কীছু একটি খুজছেন? এটার উপর ভিত্তি করে সার্চ ইন্টেন্ট বুঝতে হয়।
ই-এ-টি বলতে দক্ষতা (Expertise), অথোরিটি (Authority) এবং ট্রাস্টকে (Trust) বোঝায় । গুগল রাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে অর্থ ও জীবনঘনিস্ট কোন ব্র্যান্ড বা ওয়েবসাইটে এটি কতটা প্রাধান্যদেবে তা পরিমাপ করতে গুগল এই তিনটি বিষয় ব্যবহার করে তা ব্যবহার করে।
গুগল তার গ্রাহকদের (সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের) সর্বোত্তম অভিজ্ঞতা দিতে চায়, তাই এটি কেবলমাত্র এমন ওয়েবসাইটগুলি র্যাঙ্কিং করবে যাকে সে বিশ্বাস করে।
ইনডেক্স বা ইন্ডেক্সিং এই দুটি শব্দ টেকনিক্যাল এসইও -র পার্ট। সার্চ ইঞ্জিনের ডাটাবেজে কোন ওয়েবপেজ আছে কিনা সেটা জানার উপায় হলো ইন্ডেক্সিং চেক করা। কোন ওয়েবসাইটের কয়টি পেজ ইনডেক্স হয়েছে সেটা চেক করতে - site:yourwebsiteurl.com দিয়ে সার্চ কতে হয়। আর কোন ওয়েবপেজ এর ইনডেক্স হয়েছে কিনা চেক করতে - site:postlink দিয়ে সার্চ দিতে হয়।
সার্চ ইঞ্জিনের ইনডেক্স থেকে রিমুভ করা বা হয়ে যাওয়া।
এইটি একটা HTML মেটা ট্যাগ বা X-Robots-Tag, যা দিয়ে আমারা সার্চ ইঞ্জিন বটকে যে পেজগুলি ইনডেক্স করা যাবে না সেটা বলে থাকি।
একটি টেক্সট ফাইল যা সার্চ ইঞ্জিন ক্রলারদের বলে যে আপনার ওয়েবসাইটের কোন ওয়েবপেজগুলো অ্যাক্সেসযোগ্য এবং কোনটি অ্যাক্সেসযোগ্য নয়।
Google 2018 সালে ধীরে ধীরে ওয়েবসাইটগুলিকে মোবাইল ফার্স্ট ইনডেক্সিং-এ স্থানান্তর করতে শুরু করেছে। এই পরিবর্তনের অর্থ হল Google আপনার পৃষ্ঠাগুলিকে তাদের ডেস্কটপ ভার্শনের পরিবর্তে তাদের মোবাইল ভার্শনের উপর ভিত্তি করে ক্রল করে এবং ইনডেক্স করে।
একটি ফাইল যা একটি ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠাগুলিকে তালিকাভুক্ত করে যাতে সার্চ ইঞ্জিনগুলি সহজেই সেগুলি খুঁজে পেতে এবং ক্রল করতে পারে৷
লেজি লোডিং হল resources বা objects যতক্ষণ না সেগুলি প্রয়োজন না হচ্ছে ততোক্ষণ, লোড করা বিলম্ব করার প্রক্রিয়া। এই পদ্ধতিটি ওয়েব পেজের লোডিং টাইম কমাতে ব্যবহৃত হয়।
ইমেজ কম্প্রেশন হলো - একটি ওয়েব পেজের গতি বাড়ানোর জন্য একটি ছবির ফাইল সাইজ কমানোর প্রক্রিয়া।
থিন কন্টেন্ট এমন কন্টেন্ট যা দর্শকের কাছে সামান্যবা কোন মূল্য যোগ করে না। থিন কন্টেন্ট হল ওয়েবসাইট কন্টেন্ট যার গভীরতা, গঠন বা গুণমানের অভাব থাকে।
ক্লোকিং এমন একটি পদ্ধতি যা সার্চ ইঞ্জিনকে ও ব্যবহারকারীদের ভিন্ন কন্টেন্ট প্রদর্শন করা হয়। এসইও-তে ক্লোকিং হল এমন একটি পদ্ধতি যা ব্যবহারকারীদে ও সার্চ ইঞ্জিন ক্রলারদের আলাদা তথ্য পরিবেশন করার জন্য ব্যবহৃত হয় উপস্থাপন করা হয়। এটি একটি ব্ল্যাক হ্যাট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কৌশল।
SEO তে টার্ম ও Acronyms এর অভাব নাই। এখানে সর্বাধিক ব্যবহিত ও প্রচলিত এসইও-র পরিভাষা সমুহ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এগুলিই শেষ নয়।
আপানকে সময় নিয়ে টার্মস সম্পর্কে জানতে হবে।
যাই হোক, আশাকরি আপনাকে নতুন কীছু ধারনা দিতে পেরেছি। ভাল লাগলে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
Table of Contents
Nice
অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে উপস্থাপনা করার জন্য। আপনার ব্লগটিতে এরম আর উৎকৃষ্ট মানের পোস্ট পাব এই আশা করলাম।