এসইও (SEO) পূর্ণরুপ Search Engine Optimization, এর সাহায্যে ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিকের পরিমাণ বৃদ্ধির করা হয়। বাংলাদেশে জব ক্যারিয়ার কিম্বা ফ্রিলান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে এসইও বেশ জনপ্রিয়। শুধু তাই নয়, এই স্কিলটি ডেভেলপ করতে পারলে ব্লগিং করে অ্যাডসেন্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।
অনলাইন জগতে এসইও ছাড়া সেলস ও মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট এর কাজ কেউ কল্পনাও করা সম্ভব নয়। ডিজিটাল মার্কেটিং ও ব্লগিং এর কাজের জন্যে তাই এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
আমারা অনেকেই এসইও সম্পর্কে শুনিছি কিন্ত অনেকেই জানিনা এই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন কিভাবে কাজ করে। এর কাজ আজকের এই আর্টিকেলে তাই আমরা জানবো কিভাবে ঘরে বসে সহজেই এটি শিখে ফেলতে পারেন।
কী কী শিখবেন? কেন শিখবেন? কীভাবে একজন এসইও এক্সপার্ট হওয়া যায়? -এসব নিয়ে একটু পরে আলোচনা করছি।
এই আর্টকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন;
এখন, এসইও কিভাবে কাজ করে এটি জানতে হলে আমাদের আগে জানতে হবে এসইও কি।
SEO stands for “search engine optimization.” In simple terms, it means the process of improving your site to increase its visibility for relevant searches. The better visibility your pages have in search results, the more likely you are to garner attention and attract prospective and existing customers to your business.
source: What Is SEO
প্রথমে SEO এর সংজ্ঞা এবং সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে এগুলি সম্পর্কে জানলে এসইও কি তা বুঝতে সহজ হবে। এসইও হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের একটি পেজকে একটা সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ড এর ভিত্তিতে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়।
তার মানে দাঁড়ালো, এসইও হল এমন একটি উপায় বা উপায়র সমষ্টি, যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবপেজকে কোন বিশেষ টার্ম (কীওয়ার্ডে) প্রথম পৃষ্ঠায় আনবেন।
আর, আপনার সময় দিতে হবে শেখার ও প্র্যাকটিস এর জন্য।
এসইও শেখার আগে, কিছু সাধারণ এসইও phrase আছে যেগুলি সম্পর্কে ধারণা থাকা খুব জরুরি-
চলুন দেখে নেয়া যাক সেই ফ্রেজগুলি কি কি।
এসইও এর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন হতে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি করা এবং ওয়েবসাইটটিকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পৃষ্ঠায় নিয়ে আসা। যে কোন ওয়েবসাইটে এসইও করার ফলে সার্চ ইঞ্জিন সেই ওয়েবসাইটের কন্টেন্টের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সঠিক ধারনা পায় এবং ফলস্বরুপ ওয়েবসাইটটিতে ভিজিটর এর পরিমাণ বাড়তে থাকে। সুতরাং কোন ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে হলে বা অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ব্যবহার করতে হবে।
উদাহরণস্বরুপ, কেউ যদি ফ্লিল্যান্সিং এর উপর একটি ব্লগ পোস্ট লিখতে চায়, এবং পোস্টটিকে এসইও করে তা থেকে আয় করতে চায় তাহলে তাকে কিছু বিষয় জনাতে হবে। প্রথমে তাকে দেখতে হবে ফ্লিল্যান্সিং এর উপর অনলাইনে কি পরিমানে সার্চ করা হয়েছে, Keyword কি হতে পারে।
এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং এর উপর সার্চ ইঞ্জিনে কি পরিমান পোস্ট রয়েছে, নির্বাচিত কীওয়ার্ড এর ভ্যালুর পরিমাণ, সেই কীওয়ার্ড নিয়ে এসইও করে পোস্ট র্যাংক করলে ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা থাকবে এবং সবশেষে পোস্টটি থেকে আয়ের পরিমান কেমন হবে ইত্যাদি বিষয়েগুলোর উপর রিসার্চ করতে হবে।
বর্তমানে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান সার্চ ইঞ্জিনে তাদের ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং বৃদ্ধি করার জন্যে এসইওকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপণন কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে।
মার্কেটিং এর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বলা যায় যে একটি ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি যত বাড়বে, তার লিড, গ্রাহক এবং ইনকামের পরিমাণও ততো বাড়বে। আর তাই, বেশিরভাগ সংস্থাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার পরেই, এসইওকে তাদের বিপণন কৌশলের একটি প্রাথমিক উপাদান হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। সুতরাং বিপণন কৌশলের জন্য এসইও শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুতরাং অনলাইন মার্কেট থেকে আয় করতে হলে বা ওয়েবসাইটকে জনপ্রিয় করতে হলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কোনো বিকল্প নেই।
সার্চ ইঞ্জিন হল একটি সফটওয়ার বা এপ্লিকেশন যা ব্যবহারকারীদের অনলাইনে তথ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করে। Google হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। Google এর সার্চ বক্সে কিছু লিখে সার্চ দিলে চোখের পলকে যে কোন বিষয়ে হাজার হাজার তথ্য চলে আসবে। Google ছাড়াও আরো কিছু সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে যেমনঃ Bing, Ask, Yahoo, DuckDuckGo, Yandex ইত্যাদি।
সার্চ ইঞ্জিনে সবচেয়ে ভালো ফলাফল দেখানোর জন্যে প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনের নিজস্ব কিছু ফর্মুলা থাকে, যেগুলোকে Algorithm বলে। কোন keyword এর জন্য সার্চ রেজাল্টে ওয়েবসাইটের কনটেন্ট কেমন হবে, ওয়েবসাইট গুলোর ranking কি হবে এই সিদ্ধান্তগুলো এলগোরিদম এর উপর নির্ভর করে।
সুতরাং সার্চ ইঞ্জিন এর প্রধান কাজ হলো ব্যবহারকারী যে কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে তার সঠিক তথ্য প্রদান করা। সাধারণত ৩ টি প্রক্রিয়ায় এ কাজটি করা হয়।যথাঃ Crawling, Indexing এবং Ranking।
Crawling
Crawling হল এমন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট এর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। Crawling এর মাধ্যমে একটি সার্চ ইঞ্জিন স্পাইডার বা বট একটি ওয়েবসাইট ক্রল করে প্রতিটি পৃষ্ঠার তথ্য সংগ্রহ করে। এর সাহায্যে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন তথ্য যেমন টাইটেল, h1 ট্যাগ, ছবি, কীওয়ার্ড এবং লিঙ্ক ইত্যাদ ছাড়াও নতুন বা আপডেট করা ওয়েব কনটেন্টের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
Indexing
সার্চ ইঞ্জিন এর স্ক্যান করা ওয়েবসাইট গুলোর সম্পূর্ণ তথ্যগুলোকে ডাটাবেজ এর মধ্যে জমা রাখাকে Indexing বলে। এর ফলে, ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করার সাথে সাথে ডাটাবেজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখানো যায়। সার্চ ইঞ্জিন গুলো ইন্টারনেটে্র সকল ওয়েবসাইট এর তথ্য crawl ও index করে রাখে।
Ranking
সার্চ ইঞ্জিন এর তৃতীয় এবং শেষ প্রক্রিয়া হলো Ranking, যার মাধ্যমে website ranking করা হয়। যেই ওয়েবসাইট এর Ranking যত ভালো হবে সেই কন্টেন্টটি সার্চ রেজাল্টের সাবার উপরে দেখাবে। অনূরুপভাবে Ranking ভালো না হলে ওয়েবসাইটটিইকে প্রথম পৃষ্ঠায় দেখাবে না। সুতরাং সার্চ রেজাল্ট এ ওয়েবসাইটের তালিকা গুলোতে কোন ওয়েবসাইটটি আগে থাকবে এবং কোনটি নিচে থাকবে, সেটা Ranking মাধ্যমেই নির্ধারণ করা হয়।
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO) শেখার কোন আদর্শ উপায় নেই। LutforPro-এ কাজ করা যে কাউকে জিজ্ঞাসা করুন কিভাবে তারা SEO তে শুরু করেছে, এবং আপনি অনেক ভিন্ন গল্প পাবেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কতগুলি স্ট্র্যাটেজি মেনে করতে হয়। এখন আমরা গুরুত্বপুর্ন ৫টি এসইও স্ট্র্যাটেজি বা কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো।
এখন আপনি SEO কি জানেন, পরবর্তী ধাপ হল এটি কিভাবে কাজ করে তা শিখতে হবে।
একটি ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজ করার সময় 255 টিরও বেশি এসইও র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর রয়েছে এবং রেফারেন্সের সহজতার জন্য সেগুলিকে কয়েকটি সাব-প্রসেসে বিভক্ত করা হয়েছে।
যে শব্দ বা বাক্য লিখে search engine এ সার্চ করা হয়, তাকে কীওয়ার্ড বলে। সার্চ করা কীওয়ার্ড টির সাথে যেসব ওয়েবসাইটের টাইটেল, ডেস্ক্রিপশন এবং কনটেন্ট মিলে যায়, সেই ওয়েবসাইট গুলোকে সার্চ ইঞ্জিন এর রেজাল্ট পেজে দেখানো হয়। শুধুমাত্র keyword এর সাথে relevant কনটেন্ট গুলোই search result এর মধ্যে দেখানো হয়।
কোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইটের এসইও করতে হলে প্রথমে এর কন্টেন্টের সাথে প্রাসঙ্গিক, এমন কীওয়ার্ড গুলো বাছাই করে সেগুলো নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। গুগলের সাহায্যে এই কাজটি খুব সহজেই করা যায়। গুগলের সার্চ বারে কীওয়ার্ড লিখলে এর অটোমেটিক কিছু সাজেশন আসে। যেমনঃ
এছাড়া গুগল পেজের নিচে কিছু রিলেটেড কিওয়ার্ড ( বা প্রাসঙ্গিক টপিক) সাজেশন দেয়া থাকে। যেমনঃ
উপরে বর্ণিত জায়গাগুলো থেকে কীওয়ার্ড রিসার্চ করলে, খুব সহজেই যে কোনো কন্টেন্টের জন্যে প্রাসঙ্গিক ও সেরা কীওয়ার্ড নির্বাচন করা যাবে।
এছাড়া, কীওয়ার্ড নির্বাচিনের সময় নিম্নবর্ণিত গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
কীওয়ার্ডটি কন্টেন্টের বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক কিনা তা দেখতে হবে।
কীওয়ার্ড নির্বাচন করার পর সেটিকে কন্টেন্টের সঠিক স্থানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কন্টেন্টের শিরোনামের প্রথম বাক্যাংশটি অবশ্যই কীওয়ার্ড দিয়ে শুরু করতে হবে। বিষয়বস্তুর প্রথম কয়েকটি বাক্যের মধ্যে এবং মেটা ডেস্ক্রিপশন এর শুরুতে কীওয়ার্ড এর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
বিষয়বস্তুর মান কেমন হবে তার উপর নির্ভর করে ওয়েবসাইটের র্যঙ্কিং কেমন হবে। কন্টেন্ট অপটিমাইজেশান এর জন্যে যে বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো।
এসইও করার সময় আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, কন্টেন্টটি যেন দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখতে পারে। এজন্যে ছবি, চার্ট, এবং ভিডিও যোগ করা যেতে পারে কারন এগুলো দর্শকদের বেশি সময় ধরে রাখে।
কীওয়ার্ড এবং কন্টেন্ট ছাড়াও, এসইও এর জন্য ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত বিষয়গুলিকেও অপ্টিমাইজ করতে হবে। টেকনিক্যাল এসইও এর উপরে এখন আমরা বিশদ আলোচনা করবো।
টেকনিক্যাল এসইও এর জন্যে সর্বপ্রথম ওয়েবপেজের লোডিং স্পিডকে অপ্টিমাইজ করতে হবে। ওয়েবসাইটের গতি কম হলে র্যঙ্কিং ও খারাপ হয়। ইমেজ অপ্টিমাইজশন সাইটের গতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তবে বড় সাইজের ছবি সাইটের গতি কমিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে কম্প্রেশন টুল দিয়ে ছবিকে কম্প্রেস করে ওয়েবপেজে আপলোড করতে হবে।
সাইটের অ্যাড-অন এবং প্লাগইনগুলি্র ব্যবহার সীমিত করতে হবে। কারণ এগুলো সাইটের গতি কমিয়ে দেয়। প্রয়োজনীয় অ্যাড-অন এবং প্লাগইনগুলি সবসময় আপ টু ডেট রাখতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় গুলো আনইনস্টল করতে হবে।
ব্রোকেন লিঙ্ক হল ওয়েবপৃষ্ঠার এমন একটি লিঙ্ক যা কাজ করে না। আর ডেড লিঙ্ক হলো এমন একটি ওয়েবপেজের লিঙ্ক যেটি বর্তমানে আর নেই অর্থাৎ পেজটিকে পরিবর্তন করা হয়েছে অথবা স্থায়ীভাবে সরানো হয়েছে। এই লিঙ্কগুলি ভিজিটরদের জন্যে বিরক্তির কারন হয় এবং সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটের র্যাঙ্ক কমে যায়। আর তাই এসইও করার সময় নিয়মিত লিঙ্কগুলি চেক করতে হবে যেন সেখানে ব্রোকেন অথবা ডেড লিঙ্ক না থাকে।
ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ওয়েব লিঙ্কে HTTPS ব্যবহার করার অর্থ হচ্ছে ওয়েবসাইটটি সুরক্ষিত আছে। আর ভিজিটররা এটা দেখে বুঝতে পারে যে তাদের তথ্য হ্যাকার এবং অন্যান্য ম্যালওয়্যার ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকবে।
মোবাইল-ফ্রেন্ডলি সাইটগুলো এসইওর জন্য ভালো। এটি একটি র ্যাংকিং ফ্যাক্টর। তাই এসইও করার সময় সাইটটিকে মোবাইল-বান্ধব করে তুলতে হবে।
মোবাইলের জন্যে সহজে পড়া যায় এমন ফন্ট ব্যবহার করতে হবে। মোবাইল ডিভাইসগুলোতে দ্রুত লোড হয় এমন ছবি ব্যবহার করতে হবে। এবং পপ-আপ উইন্ডোর আকার এমনভাবে পরিবর্তন করতে হবে যেন তা মোবাইলের ছোট পর্দায় সহজেই সেট হয়।
ব্যাকলিংক হাইপারলিংক, ইনকামিং লিংক অথবা ইনবাউন্ড লিংক নামেও পরিচিত। একটি ব্যাকলিংক হল এক ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে যাওয়ার লিঙ্ক। সুতরাং SEO করার সময় কীভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করতে হয় তা অবশ্যই জানতে হবে।
ব্যাকলিংক যদি নিম্নমানের র্যাঙ্কিং বা স্প্যামি ওয়েবসাইট থেকে হয়, তাহলে তার আর কোনো মূল্য থাকে না। বিভিন্ন রকম উপায়ে ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়। প্রথমত, থার্ড পার্টি সাইটে পোস্ট করে সেই লিঙ্কটি ওয়েবসাইটের প্রাসঙ্গিক স্থানে শেয়ার করে খুব সহজেই ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়। এছাড়াও
ব্যাকলিংক কিনে ব্যাবহার করাকে ব্ল্যাক-হ্যাট এসইও হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এবং এটা সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম বহির্ভূত কাজ। যেসব ওয়েবসাইট ব্ল্যাক-হ্যাট এসইও ব্যবহার করে, Google তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে।
সুতরাং, SEO করার সময়, শুধুমাত্র White-hat SEO এবং link building পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যাকলিংক করা উচিত।
লোকাল এসইও সাধারণত স্থানীয় মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের উপর ফোকাস করে। লোকাল এসইও-এর জন্য, Google My Business এবং NAPW আপডেট করতে হবে।
যে বিষয় গুলো আপডেট করতে হয় তা হলোঃ ব্যবসার নাম, স্থানীয় ঠিকানা, কন্টাক্ট, রিভিউ, ইমেজ ও ওয়েবসাইট URL ইত্যাদি।
ওয়েবসাইটে এসইও করার পর, ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য নিয়মিত পারফরম্যান্স ট্র্যাক করতে হয়। এসইও এর সফললতা কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমনঃ
কিছু জনপ্রিয় এসইও টুলস আছে যেগুলোর সাহায্যে খুব সহজেই এসইও পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করা যায়। কিছু উল্লেখযোগ্য এসইও টুলসের মাঝে Google Analytics, Google Search Console, Ubersuggest, Ahrefs, Semrush ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং- এ শেখার কোন শেষ নেই। এসইও শেখা কখনও বন্ধ করা যাবে না। Google প্রতিনিয়ত তার র ্যাংকিং অ্যালগরিদমগুলোকে পরিবর্তন বা আপডেট করছে,এর মানে হল যে আপনার দক্ষতা এবং জ্ঞানকে সমৃদ্ধ রাখতে হবে।
আশা করি, এই আর্টিকেলের সাহায্য আপনারা সহজেই এখন ওয়েবসাইট অথবা ব্লগে এসইও করতে পারবেন। এসইও কিভাবে করতে হয় এটা জানলে আর এসইও এক্সপার্ট এর কাছে যেয়ে অযথা টাকা খরচ করতে হবে না। ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি থেকে শুরু করে, গুগলের প্রথম পৃষ্ঠায় নিয়ে আসা্, এসবই এখন আমরা ঘরে বসে করতে পারবো।
Table of Contents
ধন্যবাদ
নতুন নতুন অ্যলগরিদম গুলো কোথা থেকে শিখব??
নতুনা অ্যলগরিদম সম্পর্কে জানতে https://www.seroundtable.com/ ফলো করতে পারেন।
অনেক ভালো লিখেছে সাথে দিকনির্দেশনা ও ভালো মানের ছিলো
উপস্থাপন সুন্দর হয়েছে...
Nice Article about SEO