অন পেজ এসইও হল অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য কোন ওয়েবপেজের ভিতরে যে অপ্টিমাইজেশন। একটি ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট, মেটাডেটা এবং কোডের মতো অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলিকে অপ্টিমাইজ করার প্রক্রিয়াকে বুঝায় যাতে এটি সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল (SERP) এর প্রথম পৃষ্ঠায় র্যাঙ্ক করে।
সহজ করে বললে “On page seo " করার মুল উদ্দেশ্য হল, Google এবং অন্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো যেন আপনার কন্টেন্ট আরও ভালভাবে বুঝতে পারে সেটাতে তাদের সহায়তা করা৷
এই আর্টিকেলে আমরা যা যা জানবোঃ
আমরা জানি, সার্চ ইঞ্জিন ইন্টারনেটে থাকা ডাটাগুলো সংগ্রহ করার জন্য ক্রলার বা মাকড়সা পাঠায় (নোটঃ এই বিষয়ে আরও জানতে পড়ুন - সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান কি? )। এই ক্রলারগুলো প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট Explore (অনুসন্ধান ও আবিস্কারের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা) করছে। তারা একটা সাইটের লিংক থেকে অন্য সাইটের লিংকে যায় এবং এই সময় একটি কন্টেন্ট ম্যাপ তৈরি করে যা সার্চ ইনডেক্স নামে পরিচিত।
এই সময়, এই ক্রলারগুলো কোন ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট মূল্যায়ন করে, এতে কি ধরনের তথ্য রয়েছে তা নির্ধারণ করে৷ আর এই ডেটা তারপর সার্চ ইঞ্জিনের অ্যালগরিদম দ্বারা মূল্যায়ন করা হয় - ও এই কন্টেন্টটি সার্চার (সার্চ ইঞ্জিন ইউজার) দের কোন কোন কুয়ারি বা প্রস্নের প্রশ্নের উত্তর কতটা ভাল করে দিচ্ছে তা নির্ধারণ করে।
সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের এই সব প্রশ্নগুলোকে এসইও এক্সপার্টরা কিওয়ার্ড বলেন। যখন কোন কন্টেন্ট লেখা ও পাবলিশ করার আগে কোন না কোন কিওয়ার্ড টার্গেট করে থাকি। আর অন পেজ এসইও প্র্যাকটিস করে আমরা নিশ্চিত করতে পারি, যে সার্চ ইঞ্জিন আমাদের অই সব কিওয়ার্ডে র্যাঙ্কিং দেয়।
ওয়েবসাইট এর যে কোন পেজ এসইও কিছু বিশেষ ধাপে সম্পন্ন করা হয়। যেমন ওয়েবপেজের টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডেসক্রিপশন, হেডিং বা শিরোনাম, কন্টেন্ট, ইমেজ এবং সেই সাথে সার্চারের নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড সার্চ করার ইনটেনশন বা চাহিদা পূরণ করার জন্য অপ্টিমাইজ করার হয়।
অন-পেজ অপ্টিমাইজেশান করা হয় মূলতঃ সার্চ ইঙ্গিন বট বা ক্রলারগুলো যেন কোন সাইটের কন্টেন্ট ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং সেটা ইউজার বা রিডারের জন্য উপযুক্ত করে তোলার জন্য।
এটি ওয়েবসাইটে ইউজার এক্সপ্রিয়েন্স, থেকে শুরু করে কিওয়ার্ড স্টাফিং, লোডিং স্পিড, CTR, বাউন্স রেট ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে।
Hummingbird, মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম BERT, RankBrain যার মাধ্যমে Google একটি সার্চ কোয়েরির ব্যবহারকারীর অভিপ্রায় বা উদ্দেশ্য বুঝতে পারে। এছাড়াও গুগলের helpful content update এর মতো আপডেটের ফলে অনপেজ এসইও এখন কিছু চেকলিস্ট এর মধ্যে সিমাবদ্ধ নেই।
গুগলের মতো জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন, কোন ওয়েবপেজ- সার্চারের ইন্টেনশন (সার্চ করার কারণ) কতটা পূরণ হয়েছে, সেটি নির্ণয় করতে কনটেন্ট ও ওয়েবপেজেে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উভয় বিষয়গুলো বিচার করে। যদি সার্চ ইঞ্জিন সেই পেজটিকে পাঠকদের জন্য উপকারী মনে করে তখন সেটা সার্চ রেজাল্টের শীর্ষস্থানে জায়গা করে দেয়।
এখানে বলে রাখা ভালো rank পেতে শুধু ভাল কন্টেন্ট এর কোন বিকল্প নেই। এসইও তে টপিক রিলেটেড কনটেন্ট তৈরি কোন বিকল্প নেই, অর্থাৎ Content ভালো না হলে কোন ভাবেই গুগলের top পেজে আশা যাবে না। Google অ্যালগরিদম হল একটি কমপ্লেক্স প্রোগ্রাম যা Google একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের জন্য সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক পৃষ্ঠাগুলি খুঁজে পেতে, র্যাঙ্ক দিতে ব্যবহার করে৷ যেমনঃ Google-এর পান্ডা অ্যালগরিদম খারাপ বা নিম্নমানের কন্টেন্ট খোঁজে এবং পেনাল্টি দেয়৷
তাই অন পেজ এসইও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। কিভাবে একটি ওয়েবপেজের মধ্যে অন পেইজ এসইও করা হয় এ নিয়ে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান-কে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। আমরা অন পেজ এসইও নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছি ,তবে অন পেজ এসইও পাশাপাশি অফ পেজ এসইও নিয়েও আমাদের ধারণা রাখা খুবই প্রয়োজন।
আপনার ওয়েবসাইটকে কিংবা কন্টেন্টকে বুস্ট করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর একটি পদ্ধতির নাম হল অন পেজ এসইও। এটিতে অন পেজ এসইও কি-ওয়ার্ড, মেটা ডেসক্রিপশন, টাইটেল ট্যাগ, টেক্সট এবং ওয়েবসাইট স্ত্রাকচার অপটিমাইজেশন করা হয়।
আপনার সাইটকে র্যাংকিংয়ের বাড়াতে অফ পেজ এসইও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যাক-লিংক, E-A-T, লোকাল অ্যাডশ, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানশন এবং পে পার ক্লিকের ইত্যাদি অফ পেজ এসইও এর অংশ।
তবে, অন পেজ এসইও এর কাজ গুলোর ক্ষেত্রে আপনার অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তবে তবে অফ-পেজ এসইওকেও মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
এসইও অন-পেজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও- অনেক গুলো বিষয় একই। যেমন, টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডিসক্রিপশন, সাইট স্পীড, মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস, URL স্ত্রাকচার ইত্যাদি।
তবে আমি তাদের আলাদা রাখতে পছন্দ করি। আমার দৃষ্টিতে, প্রযুক্তিগত এসইও পৃষ্ঠার গতি এবং সাইটের গতি , ডুপ্লিকেট সামগ্রী, সাইটের কাঠামো, ক্রলিং এবং ইন্দেক্সিং এর মতো বিষয়গুলিকে নিয়ে কাজ করে। অন্য কথায়, টেকনিক্যাল অপ্টিমাইজেশান সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটে ফোকাস করে, যখন অন-পেজ অপ্টিমাইজেশান নির্দিষ্ট একটা কন্টেন্ট ফোকাস করে।
একটি ওয়েবসাইটের এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। Website এর অন পেজ এসইও করার সময় আপনাকে যে যে বিষয় গুলো নজর দিতে হবে সেগুলো হল -
একটি ওয়েবসাইটের এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। Website এর অন পেজ এসইও করার সময় আপনাকে যে যে বিষয় গুলো নজর দিতে হবে সেগুলো হল -
ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে "Content is king"। এই উক্তিটি কন্টেন্ট মার্কেটিং কিংবা এসইও সেক্টরের এক অলিখিত সত্যের নাম। এসইও করতে হলে কন্টেন্ট লাগবে ।
একটি ইঞ্জিন ছাড়া যেমন ব্র্যান্ডেড স্পোর্টস করে কোন মূল্য নেই ঠিক তেমনি এসইও বিহীন একটি কন্টেন্টেও তেমনই মূল্যহীন। অনেক সময় কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারযোগ্য হলেও এসইও বিহীন একটি কন্টেন্ট এর অস্তিত্ব বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
তাই অন সাইট এসইওতে গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক -
কিওয়ার্ড হল এমন শব্দ এবং বাক্যাংশ, যা মানুষজন সার্চ ইঞ্জিনে টাইপ করে কোন বিষয়ে জানার জন্য। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাঠকদের সার্চের উদ্দেশ্য পুরন বা সমাধান দেবার প্রধান মাধ্যম হল তারা যেসব কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে সেগুলকে কেন্দ্র করে আর্টিকেল লেখা।
একটি ওয়েবপেজকে google search এর মাদ্ধমে পাঠকদের কাছে পৌঁছানর জন্য কিওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশান এর বিকল্প নেই।
কিওয়ার্ড রিসার্চ ও অপ্টিমাইজেশান অনেক ক্ষেত্রে বেশ কঠিন। ধরুন আপনি কোন ফার্নিচার নিয়ে কন্টেন্ট লিখবেন। সে ওয়েবসাইটে একজন পাঠক কি খুঁজবে?
সোফা, চেয়ার, ডাইনিং টেবিল,সহ নানান আসবাব সামগ্রি। তাই এই শব্দগুলো যদি আপনি কিওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজে আপনার কন্টেন্ট তার টার্গেট কাস্টমারকে রিচ করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ভিজিটর নানান ধরণের অজানা তথ্যসমূহ জানতে ও বুঝতে পারবে।
কিওয়ার্ড এর ব্যবহার করার টিপস
সার্চারদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সে অনুযায়ী এসইও কন্টেন্ট রেডি করে আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি শৈল্পিক ব্যাপার। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে "Content is king"। এই উক্তিটি কন্টেন্ট মার্কেটিং কিংবা এসইও সেক্টরের এক অলিখিত সত্যে। এসইও করতে বা গুগলে র্যাঙ্কিং করতে হলে high quality content লাগবে।
একটি ইঞ্জিন ছাড়া যেমন ব্র্যান্ডেড স্পোর্টস করে কোন মূল্য নেই ঠিক তেমনি অপ্টিমাইজেশান না করা Content ও তেমনই মূল্যহীন। অনেক সময় কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারযোগ্য হলেও অন পেজ অপটিমাইজেশন বিহীন একটি আর্টিকেল খুববেশি মানুষের কাছে পৌঁছান সম্ভব হয় না। তাই অন সাইট এসইওতে গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে চলুন।
এখন, সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার কনটেন্ট এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে সঠিক ধারনা দিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক -
এসইও কন্টেন্ট বলতে মুলত হিউম্যান ও সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি কন্টেন্টকে বুঝিয়ে থাকে। ধরুন আপনি একটি ব্লগ পোস্ট লিখেছেন করেছেন কিন্তু সেটা পাঠকদের কাছে বোধগম্য নয়। তাহলে কেন পাঠক আপনার ব্লগ আর্টিকেল পড়বে? অনলাইনে তো একই বিষয়ে অনেক আর্টিকেল পাওয়া যায়, তাই পাঠকদের জন্য লিখতে হবে কতটা রিডেবল বা সহজে বুঝেয়ে বলা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।
কখনোই মাত্রাতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। এটি যেমন ওয়েবসাইট এর জন্য ক্ষতিকর ঠিক তেমনি করে SERP Ranking এর জন্য ক্ষতিকর। যেমন- পাঠক যেমন আপনার লেখা পড়তে গিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আবার গুগল পান্ডা Algorithm এই কিওয়ার্ড মাত্রাতিরিক্ত ও আনন্যাচারাল ভাবে ব্যবহার করলে পেনাল্টি দিয়ে থাকে।
সাব-হেডিং হলো প্রধান শিরোনাম বা টাইটেল- এর নিচে থাকা টেক্সট ফন্ট থেকে বড় করে যে লেখাগুলো থাকে সেগুলো। একটি বড় কন্টেন্টকে ধাপে ধাপে ভাঙ্গতে এই হেডিং গুলো ব্যবহার করা হয়। HTML - এর H2, H3, H4, H5, H6 ট্যাগ গুলো সাব-হেডিং হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
একটি কন্টেন্টে সাব হেডিং পাঠকদের কাছে বেশ আকৃষ্ট করে। সাব হেডিং-এর মাধ্যমে সারসংক্ষেপ আকারে কন্টেন্টের যাবতীয় তথ্যাবলি অল্প ভাষায় বর্ণনা করা যায়।
এমন ভাবে সাব-হেডিং তৈরি করুন যেন আপনি ঠিক কোন বিষয় নিয়ে লিখেছেন সেটা আপনার অর্ডিয়েন্স পুরোপুরি ধারণা পাবে। এটি ট্রাফিক ধরে রাখতে বা পেজ অন টাইম বাড়াতে সাহায্য করে।
পেজ seo করতে আমরা এই সাব হেডিং-গুলোতে কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারি। SEO-অপ্টিমাইজড পোস্টের শিরোনামে (H1 শিরোনাম ট্যাগ) এ মেইন কিওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। এবং কনটেন্ট এর লেন্থ বড় হলে H2 শিরোনাম এবং তারপর H3 শিরোনামেও কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
একটি কন্টেন্টকে রিডেবল করে তোলার জন্য অবশ্যই ছোট বাক্য কিংবা অনুচ্ছেদ গঠন করুন। আপনি যদি বড় অনুচ্ছেদ কিংবা বাক্য দ্বারা আপনার কন্টেন্ট কোন ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেন তাহলে পাঠকরা আপনার কন্টেন্ট পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। যা আপনার সাইটের পাশাপাশি এবং ব্লগার হিসেবে আপনার জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠবে।
মেটা আকৃতির মনে হলেও আপনার কন্টেন্টকে তথ্যবহুল করে তোলার ক্ষেত্রে আপনি বুলেট লিস্ট ব্যবহার করতে হবে। কন্টেন্ট এর কঠিন দিকগুলো আপনি যদি বুলেট আকারে উপস্থাপন করেন তাহলে খুব সহজে পাঠকদের কাছে তা আকর্ষণীয় মনে হবে এবং তারা সেই কন্টেন্ট খুব আগ্রহের সহীত পড়তে পারবে। পাশাপাশি আপনার সাইটও ভিজিট করবে।
সার্চারদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সে অনুযায়ী এসইও কন্টেন্ট রেডি করে আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি শৈল্পিক ব্যাপার।
আপনি যদি এই কাজের পূর্বে অভিজ্ঞতা না থাকে আপনার জন্য এই কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তবে এসইও শিখে আপনি তার মাধ্যমে আপনার কন্টেন্ট জেনারেট করেন তাহলে বিষয়টি অল্প সময়েই আপনার জন্য বেশ সহজ হয়ে উঠবে।
অন পেজ অপটিমাইজেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক গুলোর একটি হলো, টাইটেল ট্যাগ বা শিরোনাম। একটি পোস্টে কি আছে সেটা একটি টাইটলে বা শিরোনাম দেখলে বোঝা যায়। আর এই কারণে সার্চ ইঞ্জিন এই টাইটেল ট্যাগটিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
টাইটলে, প্রধান কিওয়ার্ড এর ব্যবহার অবশ্যই করতে হবে। এবং, এটিকে ফোকাস রেখে একটি কন্টেন্টকে প্রেজেন্টেবল করে তোলার দিকে জোর দিতে হবে।
একটি টাইটেল আপনার ওয়েবপেজের কন্টেন্টকে র্যাংক করানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। পাশাপাশি এটি অন্যান্য পেজের সাথে আপনার পেইজের কন্টেন্টকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে তুলতে সাহায্য করবে। কারণ টাইটেল ভিন্ন হলে পাঠকরা যেমন ভিজট করবে ঠিক তেমনি তথ্যবহুল আর্টিকেল এর মাধ্যমে পাঠকরাও নতুন তথ্যসমুহ সম্পর্কে জানতে পারবে।
সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারীদেরকে জন্য একটি ওয়েবপেজের বিষয়বস্তু সারসংক্ষেপ আকারে আকারে লিখতে হয় এটাকে মেটা ডিসক্রিপশন বলা হয়। একজন একজন উইজার তার জন্য আপনার আর্টিকেলটি উপযুক্ত কিনা মেটা ডেস্ক্রিপশন পড়ে বুঝতে পারে।
আপনার পছন্দের এসইও প্লাগিন ব্যবহার করে মেটা ডিসক্রিপশন দিন। খেয়াল রাখবেন এটি জেন ১৬০ ওয়ার্ডের বেশি না হয় এবং এতে কিওয়ার্ড দিবেন।
কোন ওয়েবপেইজে এসইও তার আপেক্ষিক অভাব সত্ত্বেও তাদের দুটি সুবিধা প্রদান করে-
ইমেজ এসইও হলো Google এবং অন্যান্য ইমেজ সার্চ ইঞ্জিনে ছবি ছবি র্যাঙ্ক করার প্রক্রিয়া। যেহেতু ভিজ্যুয়াল সার্চ এর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে — এটি আপনাকে কিছুটা ট্র্যাফিক পেতে সাহায্য করতে পারে।
এই পর্যায়ে আপনাকে ইমেজ এসইও করতে শিখতে হবে। গুগল ছবি পড়তে পারে না। ইমেজ অ্যাঙ্কর টেক্সটে কীওয়ার্ড ব্যবহার করার সময় আমি ভাল ফলাফল পেয়েছি (এবং একটি ছবির নামেও ), তাই আপনার আপনার ইমেজ অল্ট টেক্সটে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।
ইমেজ অপ্টিমাইজেশান হল আপনার ছবির ফাইলের সাইজ যতটা সম্ভব কমিয়ে কিন্তু গুণমান রেখে পেজ লোডের টাইম কম রাখার প্রক্রিয়া।
আমি ইতিমধ্যে শুরুতে ভিজুয়াল এসেট এর কথা আপনার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন এর টেকনিক্যাল দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক। আপনার ইমেইজ এসইও অপটিমাইজেশন - এর ক্ষেত্রে যে তথ্যগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত তা হল -
একটি ওয়েবসাইটকে কেন্দ্র করে যেমন বর্তমানে গ্রাহকরা আপনার কন্টেন্ট সম্পর্কে, বিজনেস সম্পর্কে, জানতে পারবে, ঠিক তেমনি করে আবার একটি ওয়বসাইটের কারণে আপনি আপনার গ্রাহকদের হারাতে পারেন।বিষয়টি শুনতে অবাক লাগলেও তা পুরোপুরি সঠিক।
কারণ আপনার ওয়েবসাইটের গতি যদি স্লো হয় তাহলে কখনোই একজন কাস্টমার আপনার পেজে থেকে কেনাকাটা করবে না। এভাবে ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে আপনি আপনার টার্গেট কাস্টমার হারাতে বসবেন।
আপনার ওয়েবসাইট ঠিক যতটা লোডিং হবে ঠিক ততটাই আপনার টার্গেট কাস্টমারদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার এসইও রাংকিং ডেভেলপ করতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনার ওয়েবসাইট ঠিক কত সময় নিয়ে লোডিং হয় তার উপর অনেক কিছু নির্ধারণ করে। মূলত একটি ওয়েবসাইট গুগলের কোর ওয়েব ভাইটাল ভালো করার জন্য যথেষ্ট। আপনার সাইট স্পিড চেক করতে ভিজিট করুন- PageSpeed Insights.
মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হরে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গুগল মোবাইল ব্যবহারকারিদের সুবিধা অনুযায়ী সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশানে গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই গুগল টেকনিক্যাল টিম মোবাইল ইউজার ইন্টারফেসের উপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিন ডেভেলপমেন্টে গুরুত্ব দিচ্ছে।
গুগল সার্চ কনসোল ও mobile friendly test ব্যবহার করে আপনার সাইট রেস্পন্সিভ ও মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা জানতে পারবেন।
গুগলের গাইডলাইন মতে “একটি সাইটের URL গঠন যতটা সম্ভব সহজ হওয়া উচিত। ইউআরএল স্ট্রাকচার এমন ভাবে তৈরি হওয়া উচিৎ যাতে সেটা মানুষের পক্ষে সবচেয়ে বোধগম্য হয়, আর আপনার কন্টেন্ট অর্গানাইজ করে। আপনার ইউআরএলগুলিতে আইডি নম্বরের পরিবর্তে পঠনযোগ্য শব্দ বা কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন৷”
কোন ওয়েবপেজের কন্টেন্ট কী সেটা বুঝতে সার্চ ইঞ্জিনগুলো টাইটেল ট্যাগ, লিঙ্ক অ্যাঙ্কর টেক্সট এবং URL কে গুরুত্ব দেয়৷
একটি কন্টেন্টকে সঠিক ভাবে অপটিমাইজ করতে SEO ফ্রেন্ডলি URLs তৈরির করতে হবে। URL অপ্টিমাইজেশান করতে নিচের টিপসগুলো ফলো করুন।
একটি নতুন পোস্ট লেখার সময়, পুরানো ব্লগ পোস্টগুলিতে ইন্টারনাল লিংক করা একটি ভাল প্রাকটিস। এতে পাঠকরা আপনার সাইটে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে এবং সার্চ ইঞ্জিনগুলি এই পুরানো পোস্টগুলিকে পুনরায় ক্রল করতে পারে ৷
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে আর্টিকেলের শুরুতে E-A-T নিয়ে আলোচনা করেছিলাম?
আপনার ওয়েবসাইটে তথ্য ,দক্ষতা এবং উপস্থাপনের ক্ষেত্রে সর্বপ্রধান একটি উপায় হল অন্যান্য ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া।
একটি ইন্টারনাল লিংক হল আপনার ওয়েবসাইটের একটি পৃষ্ঠা থেকে আপনার ওয়েবসাইটের অন্য পৃষ্ঠার লিংক। আমারা যখন ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করি, তখন সার্চ ইঞ্জিন একটা সংকেত পায় যে এই দুটি পেজ একে অপরের সাথে সম্পর্কিত৷ এটি Google কে আপনার পৃষ্ঠাগুলির প্রসঙ্গ এবং কীভাবে বিভিন্ন পৃষ্ঠা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত তা বুঝতে সহায়তা করে৷
তাই, কন্টেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত সব পেজগুলো একটি থেকে অন্যটিতে ইন্টারনাল লিংক করুন। এতে তাদের মধ্যে লিংক জুস বা ইকুইটি পাস হবে, যা র্যাঙ্কিং এ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
তবে, ইন্টারনাল লিংক করার সময় দুইটি বিষয় সব সময় খেয়াল রাখতে হবে -
এক্সটারনাল লিংক হলো এমন সব লিংক যা অন্য সাইটের কোন পেজকে দেওয়া হয়। আপনার যোগ করা এক্সটারনাল লিঙ্কগুলো আপনার পৃষ্ঠাগুলির উপযোগিতা এবং গুণমান নির্ধারণে সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে সহায়তা করতে পারে৷
উচ্চ-মানের পৃষ্ঠাগুলি সাধারণত অন্যান্য উচ্চ-মানের পৃষ্ঠাগুলির সাথে লিংক করে; এইভাবে, সার্চ ইঞ্জিনগুলি আপনার কন্টেন্টটিকে অনুকূলভাবে দেখবে।
এক্সটারনাল লিংক দেওয়ার ক্ষেত্রে এসইও বেস্ট প্রাকটিসগুলো হলো -
"অন পেজ" এসইও বা On-Page SEO ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ও স্টাফিং এর অপ্টিমাইজেশন নিয়ে ঘিরে।
এই আর্টিকেলটি ফলো করে আপনি অন পেজ অপটিমাইজেশন করতে পারবেন। আশাকরি এই লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে। কোন প্রস্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
জি প্রতিটি পৃষ্ঠায় অন পেজ ও অফ পেজ এসইও করতে হয়।
On page SEO এর প্রধান সুবিধা হল এটি নিজের ওয়েবসাইটের ভিতরে করতে হয়। প্রাসঙ্গিক, ভালো কন্টেন্ট প্রকাশ করার পাশাপাশি, পোস্টের শিরোনাম শিরোনাম, মেটা এবং ছবিগুলি অপ্টিমাইজ করা ফলে এটি ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়।
সম্ভব যখন আপনি যে কিওয়ার্ডে Rank করতে চান সেটির ডিফিকাল্টি কম হয়। কিন্তু কিওয়ার্ডের ডিফিকাল্টি বেশি হলে অফ পেজ এসইও করতে হয়।
Table of Contents