বাংলা এসইও টিউটোরিয়াল
বাংলা
>
এসইও টিউটোরিয়াল
>
>
কিওয়ার্ড ডেনসিটি (Keyword Density) কি?ক্যালকুলেশন ও এসইওতে এর গুরুত্ব

কিওয়ার্ড ডেনসিটি (Keyword Density) কি?ক্যালকুলেশন ও এসইওতে এর গুরুত্ব

Last Updated: 
অক্টোবর 22, 2023
কিওয়ার্ড ডেনসিটি? Keyword Density কত হলে ভালো? কিভাবে ডেনসিটি কত চেক করবেন আর এসইওতে এর গুরুত্ব কতটা সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন এই আর্টিকেলটিতে ...

কিওয়ার্ড ডেনসিটি (ঘনত্ব) একটি কিওয়ার্ড কোন কন্টেন্ট এর মধ্যে যে কতবার ব্যবহার করা হয়েছে সেটার সাথে মূল কন্টেন্ট এর শতকারা হিসাব। অর্থাৎ এটিকে ওই পেজের মোট শব্দ সংখ্যার শতকরা (%) হিসাব করা হয়। যার মূল উদ্দেশ্য হল পুরো কন্টেন্টে কিওয়ার্ডটি যে কতবার এসেছে তার পারসেন্ট বের করা।  

ট্র্যাডিশনাল ভাবে কোন কন্টেন্টেের কিওয়ার্ড ডেনসিটি পরিমাপ করতে - কিওয়ার্ড কতবার কন্টেন্ট ব্যবহার হয়েছে সেটাকে ওই কনটেন্ট এর মোট ওয়ার্ড সংখ্যাকে দিয়ে ভাগ করে তার পর সেটাকে ১০০ দিয়ে গুণ করে একটি পারসেন্টেজ বের করা হয়। 

কিওয়ার্ড ডেনসিটি = ( কিওয়ার্ডটি কতবার কন্টেন্টে আছে ÷ মোট ওয়ার্ড কাউন্ট) X ১০০%    

অর্থাৎ,

যদি ১০০ ওয়ার্ড এর আর্টিকেলের মধ্যে একটি কিওয়ার্ড দশ বার ব্যবহার হয় তাহলে  হলো ১০%। 

কিওয়ার্ড ডেনসিটিকে আগে একটি সার্চ ইঞ্জিন রেংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে ধরা হত। এখনও অন পেজ অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে প্রায়শই কিওয়ার্ড স্টাফিং ও ডেনসিটি এই দুটি শব্দ একত্রে ব্যবহার করা হয়।   

এখন আমরা জানি গুগলে কোন কনটেন্ট বা ওয়েবপেজকে রেংকিং করতে হলে কিওয়ার্ডের ব্যবহার করা প্রয়োজন। কেননা গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন গুলোর কাছে কনটেন্ট এর মধ্যে কিওয়ার্ডের ব্যবহার এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তবে একটি কিওয়ার্ড একটি কন্টেন্ট এর মধ্যে বারবার ব্যবহার করা হলে সেটি আর পড়ার যোগ্য থাকে না। ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ও ভালো হয় না। আবার সার্চ ইঞ্জিনগুলো অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যবহারকে কিওয়ার্ড স্টাফিং হিসেবে ধরতে পারে। 

কিওয়ার্ড ডেনসিটি এখন এসইওতে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ

Keyword Density এখন খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। এটাকে এখন আর রেংকিং ফ্যাক্টর হিসেবেও মনে করা হয় না। 

২০১০, ১১ সালের বা তার আগের সময়গুলোতে কিওয়ার্ড ডেনসিটিকে ranking ফ্যাক্টর হিসেবে মনে করা হতো। 

তখনকার সময় বেশিরভাগ ওয়েবসাইটগুলো তাদের কনটেন্ট এর মধ্যে অহেতুক কিওয়ার্ড এর ব্যবহার করত বা স্টাফিং করত। কিন্তু এটা কোনভাবে ইউজার ফ্রেন্ডলি ছিল না। 

এই ধরনের প্র্যাকটিসগুলো বন্ধ করার জন্য গুগল ২০১১ সালে পান্ডা আপডেট আনে। যা এই ধরনের আনন্যাচারাল কনটেন্ট গুলোকে সার্প থেকে বিদায় করে দেয়। 

আর বর্তমান সময়ের কথা চিন্তা করলে গুগলের অ্যালগরিদমগুলো এখন আনন্যাচারাল কনটেন্ট আগে থেকে অনেক ভালোভাবে ডিটেক্ট করতে পারে।

কারণ কোন কনটেন্ট কোন বিষয়ের উপরে, এবং ইউজার ইন্টেন্ট কতটা ম্যাচ করতে পারছে সেটা বোঝার জন্য google এর অ্যালগরিদম গুলো আগের থেকে অনেক বেশি স্মার্ট ওয়েতে কাজ করে। 

“I would love it if people could stop obsessing about keyword density. … There’s not a hard and fast rule.”

Matt Cutts (former head of the web spam team)

“Keyword density, in general, is something I wouldn’t focus on. Make sure your content is written in a natural way.”

John Mueller (Google's Search Advocate)

জন মুলার keyword density ফোকাস না করার জন্য উপদেশ দিয়েছেন এবং ন্যাচারাল ওয়েতে লেখার জন্য উৎসাহিত করেছেন

"Once you start to mention it a whole lot it really doesn’t help that much more. There are diminishing returns. It’s just an incremental benefit but it’s really not that large. And then what you’ll find is, if you continue to repeat stuff over and over again, then you’re in danger of getting into keyword stuffing or gibberish and those kinds of things.

So the first one or two times you mention a word that might help with your rankings, absolutely. But just because you can say it seven or eight times, that doesn’t mean that it will necessarily help your rankings.”

Matt Cutts

অর্থাৎ একটি কন্টেন্টে বারবার কিওয়ার্ড ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন নেই। এতে লাভ এর থেকে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। 

এটা গুগলের ওয়েব মাস্টার গাইডলাইন এর পরিপন্থীঃ

“Filling pages with keywords or numbers results in a negative user experience, and can harm your site’s ranking.”

যেখানে তারা বলেছে একটি পেজকে কিওয়ার্ড দ্বারা পরিপূর্ণ করলে তার ফলাফল হিসেবে ব্যবহারকারীদের বাজে এক্সপেরিয়েন্স হবে আর যেটা আপনার সাইটের রেংকিংকে এর ক্ষতি করবে।

কিওয়ার্ড ডেনসিটি কিভাবে পরিমাপ করতে হয়

কিওয়ার্ড ডেনসিটি কিভাবে পরিমাপ করতে হয়

ট্র্যাডিশনাল ভাবে কিওয়ার্ড ঘনত্ব পরিমাপ করতে আমরা কিওয়ার্ড কতবার কন্টেন্ট ব্যবহার হয়েছে সেটাকে ওই কনটেন্ট এর মোট ওয়ার্ড সংখ্যাকে দিয়ে ভাগ করে সেটাকে ১০০ দিয়ে গুণ করে একটি পারসেন্টেজ বের করা হয়।

ধরুন আপনি এসইও নিয়ে একটি কন্টেন্ট লিখলেন যার ওয়ার্ড কাউন্ট ২৪৩০ ওয়ার্ডস আর “এসইও ” টার্মসটি ৪৭ বার আছে। 

তাহলে 

কিওয়ার্ড ডেনসিটি হবে = (৪৭/২৪৩০)*১০০% = ১.৯৩৪%

এখানে আমরা যদি আগের উদাহরণটি নিয়ে কাজ করি কিন্তু কিওয়ার্ডটি চেঞ্জ করে তিন ওয়ার্ড - এর “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন” করে দেই তাহলে উপরের পদ্ধতিতে ডেনসিটি বের করলে সেটা ঠিক হবে না। কারন এখন কিওয়ার্ডটি ৩ শব্দের।

এখন যদি ধরে নেই কোন ১০০ পোস্টে যদি ওয়ার্ডের পোস্টে যদি “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন” যদি 1 বার থাকে তাহলে উপরের নিয়মে ডেনসিটি 1% হয়। কিন্তু এখানে লজিক্যাল ফ্যালাসি তৈরি হয়। 

এসব ক্ষেত্রে (এক শব্দের বেশি হয়ে থাকে তবে ) কিওয়ার্ড ডেনসিটি বের করতে হলে নিচের ফর্মুলাটি ব্যবহার করা হয়।

Keyword Density = ( KR / ( TW -( KR x ( NWK-1 ) ) ) ) x 100

= (1/(100-(1*(3-1)))*100

 = 1.02%

এখানে, 

KR = key-phrases টি কন্টেন্ট এর মধ্যে কতবার আছে

NWK = key-phrases টিতে কিওয়ার্ডটিতে কতটি ওয়ার্ড 

TW = পুরো কন্টেন্টটিতে মোট কত ওয়ার্ড আছে 

আমাদের পোস্টটিতে কিওয়ার্ডটি ১০ (দশ) বার আছে। সুতরাং 

Keyword Density = ( KR / ( TW -( KR x ( NWK-1 ) ) ) ) x 100

= (10/(100-(10*(3-1)))*100

 = 0.414%

ট্রেডিশনাল ভাবে ডেনসিটি মাপলে সেটা .৪১১% হত যা একুরেট না হলেও কাছাকাছি। 

কিওয়ার্ডের ডেনসিটি কত শতাংশ রাখতে হবে?

কখনোই নির্দিষ্ট সংখ্যক সময়ে কিওয়ার্ড ব্যবহার বা স্পেসিফিক ডেনসিটি ফলো করবেন না। ন্যাচারালি লিখতে হবে কোন ভাবেই কিওয়ার্ড স্টাফিং করা যাবে না। একটি ন্যাচারালভাবে লেখা আর্টিকেল কেউ যদি উচ্চস্বরে পড়ে তবে এটি সাধারণ মানুষের কথার মতো শোনায়।

টপিক কাভারেজ এর দিকে নজর দিতে হবে। বার বার ফোকাস কিওয়ার্ড অ্যাড না করে টপিকটির সাবটপিক বের করে - সম্পূর্ণভাবে কাভার করার চেষ্টা করতে হবে। 

জোর করে বা আন ন্যাচারালি কোন কনটেন্ট এর মধ্যে কিওয়ার্ড ইনজেক্ট করা উচিত হবে না। 

স্ট্যান্ডার্ড লেন্থের আর্টিকেল এর ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় জায়গা যেমন Title tag, H1, URL and Meta description ইত্যাদি ছাড়া অন্য কোথায় অহেতুক কিওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত হবে না। অন্য কোথায় শুধুমাত্র প্রয়োজন হলে ব্যবহার করবেন। 

উপরে আমি যে ৪টি স্থানের কথা বলেছি সেখানেও সবসময় Excat Match keyword ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। 

পূর্বে Exact Match keyword একটি গুরুত্বপূর্ণ এসইও কৌশল হিসাবে ব্যবহৃত হত, কিন্তু সেই দিনগুলি অনেক আগেই চলে গেছে। সার্চ ইঞ্জিনগুলো বুঝতে পারে কখন similar phrases and related terms একই অর্থে ব্যবহার হয়। 

আপনি কিওয়ার্ড এর synonyms, related terms, ও এর মধ্যে STOP words ব্যবহার করতে করতে পারেন।

একটি কন্টেন্টে কিওয়ার্ড কত বার ব্যবহার করা যাবে? 

আমি আগেই বলেছি এর কোন নির্দিষ্ট নাম্বার নেই। ন্যাচারালভাবে যে কয় বার আসে সেই কয়বার ব্যবহার করবেন। 

যদি কিওয়ার্ড স্টাফিং সম্পর্কে সন্দেহ হয় আর সবচেয়ে ভালো উপায় হল কম্পিটেটরদের কিওয়ার্ড ডেনসিটি বের করে সেটা ফলো করা। 

সেক্ষেত্রে আপনাকে seoquake extension বা কিওয়ার্ড ডেনসিটি চেকার টুলস (লিংক) ব্যবহার করতে পারেন। 

S M Lutfor Rahman
S M Lutfor Rahman
Hailing from Bagerhat, Bangladesh, Specializing in SEO, Google Adsense, and Affiliate Marketing, my expertise is grounded in both practical application and continuous learning.I'm your Bangla-speaking guide to online marketing mastery! I devour digital knowledge and translate it into bite-sized tutorials. Whether you're a curious newbie or a seasoned pro, this blog equips you with the latest trends and actionable tips to conquer the online world, Bangladeshi style.Join our supportive community and let's unlock your digital potential together!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Ready for Action?

এসইও বা ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনার ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্কিং, ভিজিটর  বা সেল বৃদ্ধি করতে চান? আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। 
Let's Start
envelopephonechevron-left-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram