সাধারণভাবে চিন্তা করলে ডিজিটাল মার্কেটিং- কে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়, ১. ফ্রি বা অর্গানিক মার্কেটিং, ২. পেইড মিডিয়া মার্কেটিং।

কিন্তু, একটু গভীরে চিন্তা করলে - ডিজিটাল মার্কেটিং-এ বিভিন্ন পদ্ধতিতে মার্কেটিং করা যায়। এসব পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল মার্কেটিংকে ১৪টি ভাগ করা যায়।

তো চলুন, ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার, ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন কি কি শেখানো হয় এসব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত ধরনের

ডিজিটাল কন্টেন্ট ও পদ্ধতিতে অনলাইনের মাধ্যমে কিংবা অফলাইনে মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা হয়।

ধরনের উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল মার্কেটিং ১৪ প্রকার হয়ে থাকে। ডিজিটাল ডিভাইস এর সাহায্যে মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য যেসব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, সেগুলোকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন প্রকার বা সেক্টর বলা হয়। এখানে অনলাইন এবং অফলাইন দুই পদ্ধতিতেই ব্যবহার করা যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদসমুহ

আমরা আগেই জেনেছি, ফ্রি এবং পেইড দুইটি পদ্ধতিতেই আপনার ব্যবসায়ের বিক্রি বৃদ্ধি করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। কিন্তু মার্কেটিং এর পদ্ধতি ও ধরনের উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল মার্কেটিংকে কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়।

নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও এর একটি তালিকা উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।আপনি যদি আপনার ব্যবসায়ের বিক্রি বৃদ্ধি করতে চান, তাহলে নিম্নোক্ত এসব পদ্ধতি ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মার্কেটিং করতে পারবেন।

S.N.প্রকারভেদের নামটাইপপুশ / পুল
1এসইও (SEO)অর্গানিক সার্চ মার্কেটিং মেথডপুল
2সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)পেইড সার্চ মার্কেটিং মেথডপুশ
3পে-পার ক্লিক (PPC)পেইড সার্চ মার্কেটিং, SEM-এর সাবসেটপুশ
4সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)ফ্রি বা পেইড উভয় হতে পারে মার্কেটিংপুশ
5কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)কনটেন্ট ক্রিয়েশন এবং প্রচারাভিযানপুল
6ই-মেইল মার্কেটিং (Email Marketing)অর্গানিক মার্কেটিং এর সাবসেটপুল
7ভিডিও মার্কেটিং (Video Marketing)ভিডিওর মাধ্যমে পণ্য বা সেবার কনটেন্ট মার্কেটিংপুশ
8ইনস্ট্যান্ট মেসেজ মার্কেটিং (Instant Message Marketing)মোবাইল মার্কেটিংপুশ
9ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং (Influencer Marketing)কনটেন্ট মার্কেটিং-এর সাবসেটপুল
10ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং (Billboard Marketing)পেইড মার্কেটিংপুশ
11রেডিও & টেলিভিশন এডভার্টাইজিং (Television Advertising)পেইড মার্কেটিংপুশ
12অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)পেইড মার্কেটিং মেথডপুশ
13ব্যানার বা ডিসপ্লে অ্যাড (Display Advertisement)পেইড সার্চ মার্কেটিং মেথডপুশ
14অনলাইন PRঅর্জিত ডিজিটাল প্রকাশনাপুল

উপরের এই তালিকায় উল্লেখ করে দেয়া সবগুলোই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একেকটি পদ্ধতি। এসব পদ্ধতি ব্যবহার করে যেকোনো ব্যবসায়ের প্রচারণা চালানো যায় এবং বিক্রি বৃদ্ধি করা যায়।

এখানে ফ্রি মাধ্যম এবং পেইড মাধ্যম দুইটিই আছে। আপনার ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কিত এমন পদ্ধতি ব্যবহার করে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। নিচে এসব পদ্ধতি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

এসইও (SEO)

এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন হচ্ছে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে আমাদের ওয়েবসাইট যুক্ত করার মাধ্যমে বিভিন্ন টেকনিক অনুসরণ করে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজের প্রথম দিকে শো করানো। SEO এর মুল উদ্দেশ্য হল সার্চ ইঞ্জিন থেকে ফ্রি ট্রাফিক বা ভিজিটর নিয়ে আসা।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর মাঝে অন-পেজ এসইও, অফ-পেজ এসইও, টেকনিক্যাল এসইও, লোকাল এসইও রয়েছে। এসব পদ্ধতি অনুসরণ করে সব ধরনের ওয়েবসাইট বা ব্যবসায়ের ওয়েবসাইট গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে র‍্যাঙ্ক করানো হয়।

একই বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে র‍্যাঙ্ক করার জন্য চেষ্টা করে। তাদের মাঝে থেকে আমাদের ওয়েবসাইট প্রথমের দিকে র‍্যাঙ্ক করার জন্য বিভিন্ন টেকনিক ব্যবহার করা হয়। এসব টেকনিককেই একত্রে এসইও বা Search Engine Optimization বলা হয়। এসইও করার মাধ্যমে কম্পিটিটরদের ওয়েবসাইটের তুলনায় আমাদের ওয়েবসাইট প্রথম দিকে র‍্যাঙ্ক করাতে পারি, ফলে ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক এবং বিক্রি বৃদ্ধি পায়।

কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)

বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট যেমন - ব্লগ পোস্ট, ইনফোগ্রাফিক, ভিডিও, ইবুক, ইমেইল নিউজলেটার এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এর মাধ্যমে যেকোনো ব্যবসা বা পণ্যের মার্কেটিং করা হলে তাকে কন্টেন্ট মার্কেটিং বলা হয়। কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে যেকোনো ব্যবসায়ের ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি করা যায়। এছাড়াও, পণ্যের প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধি করা যায়।

গ্রাহকদের কাছে পণ্য সম্পর্কে প্রচারণা চালানোর জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি। এখন অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিষ্ঠান এবং পণ্য সম্পর্কে প্রচারণা চালানোর জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

ই-মেইল মার্কেটিং (Email Marketing)

আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল ই-মেইল পাঠানোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান কিংবা পণ্য/সেবার প্রচারণা চালানো হলে তাকে ই-মেইল মার্কেটিং বলে। ই-মেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে টার্গেট কাস্টমারদের কাছে সরাসরি পৌঁছানো যায়। এতে করে, পণ্যের প্রচারণা চালানো যেমন সহজ হয়, ঠিক তেমনি একটি পণ্য বা সেবা অনেক দ্রুত সময়ে বিক্রি করা সম্ভব হয়।

বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য এবং সেবা সম্পর্কে প্রচারণা চালানো এবং সেসব পণ্য বা সেবা বিক্রি করার জন্য ই-মেইল মার্কেটিং করে থাকেন। ই-মেইল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)

বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে বিজ্ঞাপন দেয়ার পদ্ধতিকে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বা SEM বলা হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দেয়ার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসার মাধ্যমে পণ্য বা সেবা বিক্রি করা হয়। বিভিন্ন কম্পিটিটরদের মাঝে থেকে সবার উপরে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

এছাড়াও, সঠিক পদ্ধতিতে অল্প খরচে সার্চ ইঞ্জিনে মার্কেটিং করার জন্যও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটু অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাইলে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং শিখতে হবে। অনেকেই SEM শিখে নিজের কাজে এবং অন্যের হয়ে কাজে লাগিয়ে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে।

পে-পার ক্লিক (PPC)

পে-পার ক্লিক বা PPC হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনে দেয়া একটি বিজ্ঞাপন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে যখন একজন ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনে আপনার দেয়া বিজ্ঞাপন দেখার পর সেটিতে ক্লিক করবে, সেই ক্লিকের বিনিময়ে সার্চ ইঞ্জিন আপনার থেকে চার্জ করবে। অর্থাৎ, প্রতিটি ক্লিকের জন্য চার্জ করা হবে। এই পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপন দেয়ার যে পদ্ধতি, এটিকে বলা হয় পে-পার ক্লিক বা PPC ।

বর্তমানে পে-পার ক্লিক অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক জনপ্রিয় একটি সেক্টর হয়ে উঠছে। ফলে, অনেক প্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারণা চালাচ্ছে।

ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং (Billboard Marketing)

একটি দেশের বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিলবোর্ড লাগিয়ে সেখানে পণ্য বা সেবার প্রচারণা চালানো হয় যে মাধ্যমে, সেটিকে ইলেক্ট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং বলা হয়। ইলেক্ট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বা মানুষের আকর্ষণ পাওয়া যাবে এমন জায়গায় একটি বিলবোর্ড লাগানো হয়।

এরপর, উক্ত বিলবোর্ড এ পণ্য বা সেবার প্রচারণা চালানো হয়। এসব বিলবোর্ড ইলেক্ট্রনিক হয়ে থাকে। বিভিন্ন ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে এই বিলবোর্ড এ বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। তাই এই পদ্ধতিকে ইলেক্ট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং বলা হয়। আমাদের দেশে তত জনপ্রিয় না হলেও বাইরের দেশে এটি অনেক জনপ্রিয় একটি মার্কেটিং পদ্ধতি।

রেডিও মার্কেটিং (Radio Marketing)

রেডিও নিশ্চয়ই শুনেছেন। রেডিওতে বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় এটি নিশ্চয়ই জানেন। এই পদ্ধতিকেই বলা হয় রেডিও মার্কেটিং। রেডিওতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলাকালীন বিভিন্ন পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন দেয়ার মাধ্যমে এই মার্কেটিং করা হয়। জনপ্রিয় রেডিও অনুষ্ঠান চলাকালীন এসব বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। পূর্বে এই মার্কেটিং অনেক বেশি জনপ্রিয় ছিলো।

আমাদের দেশে এখন রেডিও তত জনপ্রিয় না হলেও বাইরের দেশে রেডিও এখনো অনেক জনপ্রিয়। তাই, বাইরের দেশে রেডিও মার্কেটিংও এখনও অনেক জনপ্রিয়। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতি অনুসরণ করে মার্কেটিং করে থাকেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার প্রচারণা চালানোর জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, তাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা SMM বলা হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার প্রচারণা, প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি করা সহ পণ্য বিক্রি করাও অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন একটি ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি করতে চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর বিকল্প নেই বললেই চলে।

শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্র করেই এখন অনেক ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি পণ্য ও সেবা বিক্রি করছেন। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, পিন্টারেস্ট সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

বিশেষ করে ফেসবুককে কেন্দ্র করে এখন অনেক ব্যবসা গড়ে উঠেছে। ফেসবুককে কেন্দ্র করেই অনেকেই তাদের ব্যবসা থেকে মুনাফা অর্জন করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। ডিজিটাল মার্কেটিং পুর্নাঙ্গভাবে শিখতে চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অবশ্যই শিখতে হবে।

টেলিভিশন এডভার্টাইজিং (Television Advertising)

টেলিভিশন দেখার সময় নিশ্চয়ই বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখেছেন। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য এবং সেবার প্রচারণা চালানোর জন্য টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। টেলিভিশন এডভার্টাইজিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি পদ্ধতি। টেলিভিশন মার্কেটিং করেও পণ্য এবং সেবার প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি বিক্রয় বৃদ্ধি করা যায়।

এছাড়া, যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি করার জন্য প্রচারণা করতে টেলিভিশন মার্কেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টেলিভিশন আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে মানুষ তাদের পণ্য ও সেবার প্রচারণা চালাচ্ছে। এটি একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং পদ্ধতি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে সহযোগিতা করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়, একে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া ইউনিক রেফারেল লিংক এর মাধ্যমে কাউকে যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে উদ্বুদ্ধ করা যায় এবং সেই ব্যক্তি উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য বা সেবা ক্রয় করে, তবে প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দেয়া হবে আপনাকে। এই পদ্ধতিকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংও ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যক্তি যেমন কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারে, তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতি ব্যবহার করার কারণে তার পণ্য বিক্রয় করতে পারে অনেক সহজেই। বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেমন - আমাজন, অ্যাপসুমো ইত্যাদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সিস্টেম রেখেছে। তাদের পণ্য বিক্রি করে দেয়ার মাধ্যমে আপনি কমিশন পেতে পারেন।

মোবাইল এডভার্টাইজিং (Mobile Advertising)

মোবাইল ফোন এখন আমাদের সকলেরই একটি নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসে পরিণত হয়েছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে পদ্ধতি অনুসরণ করে, তাকে মোবাইল এডভার্টাইজিং বলে। ইন-অ্যাপ বিজ্ঞাপন, সার্চ বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন, মেসেজিং অ্যাপ বিজ্ঞাপন, লোকেশন-ভিত্তিক বিজ্ঞাপন সহ আরও অনেক ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে এই পদ্ধতিতে মার্কেটিং করা হয়।

মোবাইল এডভার্টাইজিং এখন প্রতিনিয়ত অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই পদ্ধতিতে পণ্য এবং সেবার প্রচারণা করলে অল্প সময়ে অনেক সংখ্যক মানুষের কারণে পৌঁছানো যায়। এজন্য বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেটিং এর মোবাইল এডভার্টাইজিং পদ্ধতি ব্যবহার করে তাদের পণ্য এবং সেবার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এতক্ষণ যাবত যেসব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, এগুলো সব ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এসব পদ্ধতি অনুসরণ করে মার্কেটিং করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রচারণা চালানো, পণ্য এবং সেবা সম্পর্কে প্রচারণা চালানো ও পণ্য বিক্রয় করা যায়।

শেষকথা

ডিজিটাল মার্কেটিংকে এসইও ও পেইড অ্যাডস এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে যে সকলভাবে মার্কেটিং বা প্রচারনা চালানো যায়, তার সবগুলোই এর মধ্যে পড়ে। উপরে আমি এটি কত প্রকার ও কী কী তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছি আপনাদের সাথে।

একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চাইলে এসব পদ্ধতি ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারবে। এছাড়াও, আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান, তাহলে এসব পদ্ধতি শেখা শুরু করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি একজন স্কিলড ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন।