ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে সাধারণত এক থেকে তিন মাস সময় লাগে, এরপরে এই সেক্টর থেকে টুকিটাকি আয় করা যায়। কিন্তু দক্ষ হতে ছয় মাস থেকে দুই বছর সময় লাগতে পারে। তবে ডিজিটাল মার্কেটার কখনই শেখা বন্ধ করতে পারেন না বা আজীবন নতুন নতুন বিষয় শিখতে হয়।

আপনার এই ব্লগ পড়ার উদ্দেশ্য হল আপনি জানতে চাচ্ছেন আসলে কতদিন সময় ব্যয় করলে আপনি এই সেক্টরে চাকুরী বা ফ্রিলান্সিং করে টাকা আয় করতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তর আসলে আপনার উপরে নির্ভর করে।

সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগেবে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত দিন লাগে

আপনি যদি শুরু থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান, তাহলে বেশ কিছু বিষয়ের উপরে নির্ভর করছে কতদিন সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে ৬ মাস থেকে ২ বছর সময় লাগবে। যেমন এসইও শিখতে ৩ মাস - ১ বছর সময় লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতা স্ব-অধ্যয়ন, অনলাইন কোর্স, কলেজ ডিগ্রি, বা অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্টিফিকেট কোর্সে করার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়।

কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিজে বা তিন থেকে ছয় মাসের অনলাইন কোর্স করেই ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন। তবে বড় কোন কোম্পানিতে কাজ করতে সার্টিফিকেট, শিক্ষাগত যোগ্যতা বা ডিগ্রি প্রয়োজন পড়ে। তাই আপনি চাইলে কোন বিশ্ববিদ্যালয়র থেকে ৪ বছর মেয়াদী ডিগ্রি নিতে পারেন। এটি করলে আপনি অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবেন।

এখন আসুন ডিজিটাল মার্কেটিং কি সম্পূর্ণ শেখা সম্ভব বা প্রয়োজন আছে কিনা?

ডিজিটাল মার্কেটিং হল মার্কেটিং এর একটি অংশ। এটা শুধুমাত্র একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মার্কেটিংকে বুঝায়। আপনার যদি মার্কেটিং ফিল্ড সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকে, তবে আমার সাথে এই বিষয়ে একমত হবেন যে - ১) মার্কেটিং শেখার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। ২) ডিজিটাল মার্কেটিং এর এক'শর উপরে টেকনিক, ও স্ট্রাটিজি আছে আবার মার্কেটিং এর জন্য দুই ডজনের উপর মাধ্যম আছে।

সুতরাং সম্পূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা আসলে প্রায় অসম্ভব। কি হতাশ হলেন?

হতাশার কোন কারন নাই, কারন আপনি আপনার আশেপাশে যেসব ডিজিটাল মারকেটার দেখছেন তাদের প্রায় সবাই একটি বা দুইটি টাইপের ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে সম্পৃক্ত। কেউ ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম অ্যাডস মার্কেটিং করে, কেউ বা এসইও ও পিপিসি মার্কেটিং এক্সপার্ট আবার কেউ ইমেইল মার্কেটিং করেন। অর্থাৎ তারা নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে এক্সপার্ট।

দ্রুত ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন কিভাবে?

দ্রুত ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার টিপস

পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে যে সময় লাগে তা ব্যক্তির ইচ্ছা, বোঝার ক্ষমতা এবং শেখার পদ্ধতির উপর নির্ভর করে।

মার্কেটিং এর ব্যসিকগুলো জানুন

আপনি প্রথমে যা শিখতে পারেন তা হল বিপণনের নীতিগুলি।

মূলত প্রতিষ্ঠান সুবিধার্থে ক্রেতার সাথে সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা এবং নতুন ক্রেতা সৃষ্টি, ও যোগাযোগ স্থাপন ও ভেলু প্রদান করার উদ্দশে করা সকল সাংগঠনিক কার্যক্রমের সমষ্টিকেই মার্কেটিং বলে।

বিপণন হল গ্রাহকদের কাছে পণ্য বা পরিষেবাকে পৌঁছে দেবার প্রক্রিয়া। ডিজিটাল মার্কেটিং-এ আপনাকে এই কাজ করতে হবে, গ্রাহকদের আপনার পণ্য, পরিষেবা এবং ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত করতে হবে, কিন্তু ভার্চুয়াল উপায়ে - ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তাই, বিপণনের মৌলিক জ্ঞানের পাশাপাশি, আপনাকে ইন্টারনেটের বৈশিষ্ট্য এবং লোকেদের অনলাইন আচরণও লক্ষ্য করতে হবে। ডিজিটাল হোক বা এনালগ, মার্কেটিং এর ব্যসিকগুলো সবক্ষেত্রেই জানা প্রয়োজন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন একটি শাখাতে স্কিলড হোন

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ ভালো। সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা ইমেল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই হোক না কেন, আজকের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একটি শক্তিশালী ডিজিটাল উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তাই প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্কিলড মানুষের প্রয়োজন। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা শুরু করার আগে, নির্দিষ্ট বিষয় সিলেক্ট করে নিন। এটা আপনার উত্সাহ ও ধৈর্য বৃদ্ধি করবে এবং আপনাকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজ করতে সহায়তা করবে।

ক্রমাগত বিকশিত ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপের সাথে আপডেট থাকা

ডিজিটাল দুনিয়ায় চোখ রাখুন। আপনার শিল্পের মডেল ব্র্যান্ডগুলি ডিজিটালে কী করে সেদিকে মনোযোগ দিন। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির সাথে, ব্যবসার জন্য ক্রমাগত বিকশিত ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপের সাথে আপডেট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিযোগিতামূলক এবং প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য, নতুন ডিজিটাল কৌশল এবং সরঞ্জামগুলিকে ক্রমাগত মানিয়ে নেওয়া অপরিহার্য। এটি নিয়মিতভাবে বাজারের প্রবণতা, ভোক্তাদের আচরণ এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিগুলিকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করে জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নিতে এবং কার্যকর কৌশলগুলি বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করবে।

অভিজ্ঞতা হল সেরা শিক্ষক

অভিজ্ঞতা অর্জনের করার মাধ্যমে আপনি এটি দ্রুত শিখবেন। অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে, দক্ষতা, জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।এই ক্ষেত্রে চাকুরীর সুযোগ খোঁজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে ক্রমাগত নতুন অভিজ্ঞতা এবং চ্যালেঞ্জের সাথে জড়িত থাকার মাধ্যমে, দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিতএবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়বে ও আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে, এটা নির্ভর করে একজনের ডেডিকেশন এবং পদ্ধতির উপর। এটি একটি ক্রমাগত বিকশিত ক্ষেত্র, এবং সর্বশেষ প্রবণতা এবং কৌশলগুলির সাথে আপডেট থাকা সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ব্যক্তির পূর্ব জ্ঞান এবং মার্কেটিং অভিজ্ঞতা উপর নির্ভর করে., ঐতিহ্যগত বিপণনের একটি শক্তিশালী ভিত্তি আছে এমন কারো জন্য, ধারণাগুলি উপলব্ধি করতে এবং ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কম সময় লাগতে পারে।

যাইহোক, একজন শিক্ষানবিশের জন্য, ডিজিটাল মার্কেটিং এর বুঝতে বেশি সময় লাগতে পারে। সঠিক মানসিকতা এবং ধারাবাহিক শিক্ষার মাধ্যমে, কেউ একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং আয়ত্ত করতে পারে।