অন পেজ এসইও কি? কীভাবে অন পেজ অপ্টিমাইজেশন করবেন

Last Updated: 
ডিসেম্বর 21, 2022
অন পেজ এসইও বলতে এক বা একাধিক কিওয়ার্ডের জন্য কোন ওয়েবপেজকে অপটিমাইজেশন বুঝায়। র‍্যাঙ্কিং এর জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে আমি অন পেজ এসইও কী, রাঙ্কিং ফ্যাক্টর ও সেগুলো অপটিমাইজেশন কীভাবে করবেন সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

অন পেজ এসইও কি?

অন পেজ এসইও (On page SEO) হল অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডের জন্য সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাঙ্ক করার জন্য ওয়েবপেজেকে অপ্টিমাইজ করার প্রক্রিয়া।

এই পদ্ধতিটি কিছু বিশেষ ধাপে সম্পন্ন করা হয়। এটিতে ওয়েবপেজের উপাদান যেমন টাইটেল ট্যাগ, হেডিং বা শিরোনাম, কন্টেন্ট এবং সেই সাথে নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড সার্চারের ইনটেনশন পূরণ করার জন্য অপ্টিমাইজ করার হয়।

অন পেজ এসইও

র‍্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে অন পেজ এসইও করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ

সার্চ ইঞ্জিনগুলোর crawlers বা spiders প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট Explore (অনুসন্ধান ও আবিস্কারের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা) করছে। তারা একটা সাইটের লিংক থেকে অন্য সাইটের লিংকে যায় এবং এই সময় একটি কন্টেন্ট ম্যাপ তৈরি করে যা সার্চ ইনডেক্স নামে পরিচিত।

এই সাইট-টু-সাইট এক্সপ্লরিং এর সময়, crawlers ওই সব সাইটের কন্টেন্ট মূল্যায়ন করে ও কী ধরনের তথ্য রয়েছে তা নির্ধারণ করে।

গুগলের মত জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন সমূহ একটি ওয়েবসাইটের আর্টিকেলে ব্যবহৃত কীওয়ার্ডগুলোর সাথে যিনি সার্চার যে ডাটা পেতে চাচ্ছেন তা খতিয়ে দেখে। এই সাদৃশ্যপূর্ণতা যাচাই করতে গুগোল বিভিন্ন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সাইটের কন্টেন্ট, অনুসন্ধানকারীর প্রশ্নের উত্তর কতটা ভাল করে দিচ্ছে তা নির্ধারণ করে।

Google অ্যালগরিদম হল একটি কমপ্লেক্স প্রোগ্রাম যা Google একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের জন্য সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক পৃষ্ঠাগুলি খুঁজে পেতে, র‌্যাঙ্ক দিতে ব্যবহার করে৷

যেমনঃ Google-এর পান্ডা অ্যালগরিদম খারাপ বা নিম্নমানের কন্টেন্ট খোঁজে এবং পেনাল্টি দেয়৷

এছাড়াও, Hummingbird, মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম BERT, RankBrain যার মাধ্যমে Google একটি সার্চ কোয়েরির ব্যবহারকারীর অভিপ্রায়কে বুঝতে পারে। এছাড়াও গুগলের helpful content update এর মতো আপডেটের ফলে অনপেজ এসইও একজন কিছু চেকলিস্ট এর মধ্যে সিমাবদ্ধ নেই।

অন-পেজ অপটিমাইজেশন করা হয় মূলতঃ সার্চ ইঙ্গিন বট বা ক্রলারগুলো যেন কোন সাইটের কন্টেন্ট ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং সেটা ইউজার বা রিডারের জন্য উপযুক্ত করে তোলার জন্য।

গুগলের মতো জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন, কোন ওয়েবপেজ- সার্চারের ইন্টেনশন (সার্চ করার কারণ) কতটা পূরণ হয়েছে, সেটি নির্ণয় করতে কিওয়ার্ড ও অন পেজ এসইও-র ইঙ্গিতগুলো বিচার করে। যদি সার্চ ইঞ্জিন সেই পেজটিকেপাঠকদের জন্য উপকারী মনে করে তখন সেটা সার্চ রেজাল্টের শীর্ষস্থানে জায়গা করে দেয়। 

তাই অন পেজ এসইও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। কিভাবে একটি ওয়েবপেজের মধ্যে অন পেইজ এসইও করা হয় এ নিয়ে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

অন পেজ এসইওকে ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে-

  1. কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন,
  2. এইচটিএমএল অপটিমাইজেশন,
  3. ওয়েবসাইট আর্কিটেকচার অপটিমাইজেশন,

চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন

কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন

ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে "Content is king"। এই উক্তিটি কন্টেন্ট মার্কেটিং কিংবা এসইও সেক্টরের এক অলিখিত সত্যের নাম। এসইও করতে হলে কন্টেন্ট লাগবে ।

একটি ইঞ্জিন ছাড়া যেমন ব্র্যান্ডেড স্পোর্টস করে কোন মূল্য নেই ঠিক তেমনি এসইও বিহীন একটি কন্টেন্টেও তেমনই মূল্যহীন। অনেক সময় কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারযোগ্য হলেও এসইও বিহীন একটি কন্টেন্ট এর অস্তিত্ব বেশিদিন স্থায়ী হয় না। 

তাই অন সাইট এসইওতে গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক -

1. কি-ওয়ার্ড (keyword) এর ব্যবহার

কি-ওয়ার্ড (keyword) এর ব্যবহার

কীওয়ার্ড হল এমন শব্দ এবং বাক্যাংশ, যা মানুষজন সার্চ ইঞ্জিনে টাইপ করে কোন বিষয়ে জানার জন্য। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেপাঠকদের সার্চের সমাধান দেবার প্রধান মাধ্যম হল তারা যেসব কি-ওয়ার্ড লিখে সার্চ করেন সেগুলো কন্টেন্টে ব্যবহার করা। 

একটি কন্টেন্টকে পাঠকদের কাছে পৌঁছানর জন্য কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন এর বিকল্প নেই। কারণ মানুষ যে বিষয়ে মানুষ সচারেচর মানুষ সার্চ করে সেই কিওয়ার্ডগুলো খুঁজে পেতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা হয়।  

কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন অনেক ক্ষেত্রে বেশ সহজ। ধরুন আপনি কোন ফার্নিচার নিয়ে কন্টেন্ট লিখবেন। সে ওয়েবসাইটে একজন পাঠক কি খুঁজবে? 

সোফা, চেয়ার, ডাইনিং টেবিল,সহ নানান আসবাব সামগ্রি। তাই এই শব্দগুলো যদি আপনি কিওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজে আপনার কন্টেন্ট তার টার্গেট কাস্টমারকে রিচ করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ভিজিটর নানান ধরণের অজানা তথ্যসমূহ জানতে ও বুঝতে পারবে।

2. এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং (SEO Friendly Article Writing)

সার্চারদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সে অনুযায়ী এসইও কন্টেন্ট রেডি করে আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি শৈল্পিক ব্যাপার। 

আপনি যদি এই কাজের পূর্বে অভিজ্ঞতা না থাকে আপনার জন্য এই কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তবে এসইও শিখে আপনি তার মাধ্যমে আপনার কন্টেন্ট জেনারেট করেন তাহলে বিষয়টি অল্প সময়েই আপনার জন্য বেশ সহজ হয়ে উঠবে। 

তাই এই কাজটি করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক -

পঠনযোগ্যতা বা রিডেবলিটি নিশিত করুন

ধরুন আপনি একটি কন্টেন্ট ক্রিয়েট করেছেন কিন্তু সে কন্টেন্ট পাঠকদের কাছে বোধগম্য নয়। তাহলে কেন পাঠক আপনার কন্টেন্ট পড়বে? তাই পাঠকদের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই তা কতটা রিডেবল সে বিষয়ে নজর দিতে হবে। 

মাত্রাতিরিক্ত কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না 

কখনোই মাত্রাতিরিক্ত কি ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। এটি যেমন ওয়েবসাইট এর জন্য ক্ষতিকর ঠিক তেমনি করে আপনার কন্টেন্ট এর জন্য ক্ষতিকর। এর মাধ্যমে পাঠক যেমন আপনার কন্টেন্ট পড়তে গিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে ঠিক তেমনি করে গুগল ও একশন নিতে বাধ্য হবে। অনেক সময় এই কাজটি বার বার করার ফলে গুগল আপনার সাইট ব্যান করে দিতে পারে।

সাব-হেডিং যুক্ত করুন

সাব-হেডিং হলো প্রধান শিরোনাম বা টাইটেল- এর নিচে থাকা টেক্সট ফন্ট থেকে বড় করে যে লেখাগুলো থাকে সেগুলো। একটি বড় কন্টেন্টকে ধাপে ধাপে ভাঙ্গতে এই হেডিং গুলো ব্যবহার করা হয়। HTML - এর H2, H3, H4, H5, H6 ট্যাগ গুলো সাব-হেডিং হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

একটি কন্টেন্টে সাব হেডিং পাঠকদের কাছে বেশ আকৃষ্ট করে। সাব হেডিং-এর মাধ্যমে সারসংক্ষেপ আকারে কন্টেন্টের যাবতীয় তথ্যাবলি অল্প ভাষায় বর্ণনা করা যায়।

সাব-হেডিং সংযুক্ত করলে আপনার কন্টেন্ট ঠিক কোন বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে তা আপনার অর্ডিয়েন্স পুরোপুরি ধারণা পাবে। কন্টেন্টে ট্রাফিক ধরে রাখতে চাইলে অবশ্যই সাব হেডিং যুক্ত করতে হবে।

এছারাও আমরা এই সাবহেডিং-গুলোতে কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারি। SEO-অপ্টিমাইজড পোস্টের শিরোনাম একটি H1 শিরোনাম ট্যাগ ব্যবহার করা উচিত। তাই পরবর্তী সাব-হেডিং এর জন্য, আপনি একটি H2 শিরোনাম এবং তারপর H3 শিরোনাম ব্যবহার করতে পারেন।

ছোট ব্যাখ্যা এবং প্যারার মাধ্যমে আর্টিকেলটি ফুটিয়ে তুলেন

একটি কন্টেন্টকে রিডেবল করে তোলার জন্য অবশ্যই ছোট বাক্য কিংবা অনুচ্ছেদ গঠন করুন। আপনি যদি বড় অনুচ্ছেদ কিংবা বাক্য দ্বারা আপনার কন্টেন্ট কোন ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেন তাহলে পাঠকরা আপনার কন্টেন্ট পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। যা আপনার সাইটের পাশাপাশি এবং ব্লগার হিসেবে আপনার জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠবে।

নাম্বার বা বুলেট লিস্ট ব্যবহার করুন 

মেটা আকৃতির মনে হলেও আপনার কন্টেন্টকে তথ্যবহুল করে তোলার ক্ষেত্রে আপনি বুলেট লিস্ট ব্যবহার করতে হবে। কন্টেন্ট এর কঠিন দিকগুলো আপনি যদি বুলেট আকারে উপস্থাপন করেন তাহলে খুব সহজে পাঠকদের কাছে তা আকর্ষণীয় মনে হবে এবং তারা সেই কন্টেন্ট খুব আগ্রহের সহীত পড়তে পারবে। পাশাপাশি আপনার সাইটও ভিজিট করবে।

3. ভিজুয়াল এসেট (Visual Asset) অপটিমাইজেশন

আপনার পাঠকদের কাছে আপনার ওয়েবপেজটি আকর্ষণীয় করে ফুটিয়ে তুলতে আপনার কন্টেন্টে ছবি, ভিডিও, ইনফো-গ্রাফিক ব্যবহার করার দিকে গুরুত্ব দিন। এই পদ্ধতিটি আপনার এসইও স্কোর বুস্ট করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। 

প্রায় ৩৬% বেশি পাঠকরা শুধুমাত্র ছবি দেখেই অনলাইনে কেনাকাটা করে। অর্থাৎ আপনি যদি ভালো মানের ছবি ব্যবহার না করেন আপনি কখনোই ট্রাফিক এঙ্গেইজ করতে পারবেন না। 

আর অবশ্যই ইমেজের সাথে প্রয়োজনীয় টেক্সট এড করতে ভুলবেন না। 

আপনি যদি কোন ইনফোগ্রাফি করুন না কেন অবশ্যই সেই ইনফোগ্রাফির সাথে টেক্সট এড করতে ভুলবেন না। আর যে ইমেজ ব্যবহার করবেন সে ইমেজের সাথে ব্যাক-লিংক ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এটি আপনার কন্টেন্ট রিচ করতে সাহায্য করে। 

4. E-A-T অপটিমাইজেশন

একটি ওয়েবসাইট এর তথ্যসমূহ ঠিক কতটা কার্যকরী , বিশ্বাসযোগ্যতা কতখানি এবং তা সার্চ ইঞ্জিনেরপাঠকদের জন্য কতটা উপযোগী তা E-A-T এর মাধ্যমে যাচাই করা হয়। 

E-A-T এর ফুল ফর্ম হলো- Expertise (দক্ষতা), Authoritativeness (কর্তৃত্ব) এবং Trustworthiness (বিশ্বস্ততা)। এটি নিয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সার্চ কোয়ালিটি গাইডলাইনের মধ্যে এই ১৭৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আলোচনা করা হয়েছে। 

এই পদ্ধতির গুরুত্ব ঠিক কতখানি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মূলত গুগল কোয়ালিটি গাইডলাইনের মাধ্যমে উক্ত পদ্ধতি কিভাবে সার্চ ইঞ্জিন এলগরিদমে প্রভাব বিস্তার করবে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 

এইচটিএমএল (HTML) অপটিমাইজেশন

এইচটিএমএল (HTML) অপটিমাইজেশন

হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল এইচটিএমএল। এইচটিএমএল হল এক ধরণের কোড যা আপনার ওয়েবপেজ এবং কন্টেন্টের মাধ্যমে সম্মাঞ্জস্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

বরং এটি এমন ভাবে স্ট্রাকচার করা হয় যা একটি ব্রাউজারে কখন কি শো করবে তার নির্দেশনা প্রদান করে। পাশাপাশি এটি সার্চ ইঞ্জিনকে একটি পেজ কখন কোথায় শো করবে তার উপযুক্ত নির্দেশনা প্রদান করবে। 

এইটি টেকনিকাল এসইও-র মধ্যে ফেলা যায়, কিন্তু যেহেতু এই আর্টিকেলে আমরা অন পেজ অপ্টিমাইজেশন সম্পর্কে জানছি, তাই অন পেজ এসইও এর ক্ষেত্রে কোন ধরণের এসইও ফ্যাক্টরগুলো যাচাই করা প্রয়োজন চলুন। সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

5. টাইটেল ট্যাগ (Title Tags) অপটিমাইজেশন

টাইটেল ট্যাগ (Title Tags) অপটিমাইজেশন

অন পেজ এসইও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক গুলোর একটি হলো, টাইটেল ট্যাগ বা শিরোনাম। একটি পোস্টে কি আছে সেটা একটি টাইটলে বা শিরোনাম দেখলে বোঝা যায়। আর এই কারণে সার্চ ইঞ্জিন এই টাইটেল ট্যাগটিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

টাইটলে, প্রধান কিওয়ার্ড এর ব্যবহার অবশ্যই করতে হবে। এবং, এটিকে ফোকাস রেখে একটি কন্টেন্টকে প্রেজেন্টেবল করে তোলার দিকে জোর দিতে হবে।

একটি টাইটেল আপনার ওয়েবপেজের কন্টেন্টকে র‍্যাংক করানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। পাশাপাশি এটি অন্যান্য পেজের সাথে আপনার পেইজের কন্টেন্টকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে তুলতে সাহায্য করবে। কারণ টাইটেল ভিন্ন হলে পাঠকরা যেমন ভিজট করবে ঠিক তেমনি তথ্যবহুল কন্টেন্ট এর মাধ্যমে পাঠকরাও নতুন তথ্যসমুহ সম্পর্কে জানতে পারবে।

  • পোস্টের টাইটলে: আপনার পাঠক কীভাবে আপনার ওয়েবসাইটে যে টাইটলে দেখেন।
  • পোস্ট মেটা টাইটলে: সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে সার্চ ফলাফলে আপনার পোস্টে যে টাইটলে দেখায়।
  • মেটা টাইটলে আপনার কীওয়ার্ড থাকা গুরুত্বপূর্ণ, ও সেটা ৬০ অক্ষরের কম রাখুন।

6. মেটা ডেসক্রিপশন (Meta Description) অপটিমাইজেশন

একজন ব্যবহারকারীকে একটি ওয়েবপেজের মধ্যে উপযুক্ত কন্টেন্ট এবং বিবরণ সম্পর্কে সারসংক্ষেপ আকারে উপস্থাপনের প্রক্রিয়াকে মেটা ডিসক্রিপশন বলা হয়। বরং একজন একজন উইজার তার জন্য উপযুক্ত কন্টেন্টটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা মেটা ডেস্ক্রিপশনের মাধ্যমে বুঝতে পারে। 

আপনার পছন্দের এসইও প্লাগিন ব্যবহার করে মেটা ডিসক্রিপশন দিন। খেয়াল রাখবেন এটি জেন ১৬০ ওয়ার্ডের বেশি না হয় এবং এতে কিওয়ার্ড দিবেন।

কোন ওয়েবপেইজে এসইও তার আপেক্ষিক অভাব সত্ত্বেও তাদের দুটি সুবিধা প্রদান করে-

  1. আপনার ওয়েবপেইজটিতে ঠিক কোন বিষয়ের উপর কন্টেন্ট রয়েছে তা পাঠকদের জন ঠিক কতোটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে। 
  2. পাশাপাশি উপযুক্ত কিওয়ার্ড এনালাইজের মাধ্যমে গুগল পাঠকদের সামনে সঠিক কন্টেন্ট উপস্থাপন করে।
  3. যদিও মেটা ডেসক্রিপশন কোন র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর নয়। তারপরেও যেহেতু অনেকক্ষেত্রে গুগল এটা SERP -এ দেখায়, সুতরাং এটি ক্লিক থ্রো রেট বাড়াতে ভুমিকা রাখে।

7. ইমেইজ এসইও (Image SEO Optimization) করুন

ইমেইজ এসইও (Image SEO Optimization) করুন

ইমেজ এসইও হলো Google এবং অন্যান্য ইমেজ সার্চ ইঞ্জিনে ছবি ছবি র‌্যাঙ্ক করার প্রক্রিয়া। যেহেতু ভিজ্যুয়াল সার্চ এর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে — এটি আপনাকে কিছুটা ট্র্যাফিক পেতে সাহায্য করতে পারে।

এই পর্যায়ে আপনাকে ইমেজ এসইও করতে শিখতে হবে। গুগল ছবি পড়তে পারে না। ইমেজ অ্যাঙ্কর টেক্সটে কীওয়ার্ড ব্যবহার করার সময় আমি ভাল ফলাফল পেয়েছি (এবং একটি ছবির নামেও ), তাই আপনার আপনার ইমেজ অল্ট টেক্সটে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।

ইমেজ অপ্টিমাইজেশান হল আপনার ছবির ফাইলের সাইজ যতটা সম্ভব কমিয়ে কিন্তু গুণমান রেখে পেজ লোডের টাইম কম রাখার প্রক্রিয়া।

আমি ইতিমধ্যে শুরুতে ভিজুয়াল এসেট এর কথা আপনার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন এর টেকনিক্যাল দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক। আপনার ইমেইজ এসইও অপটিমাইজেশন - এর ক্ষেত্রে যে তথ্যগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত তা হল -

  • এসইও ফ্রেন্ডলি ট্যাগ যুক্ত করুন। 
  • দ্রুত লোডিং এর জন্য সঠিক ফরম্যাট এবং ফাইলের ধরণ নির্বাচন করুন।
  • ইমেজ এর পরিবর্তনে ফাইল নিয়মগুলো কাস্টমাইজড করুন। 
  • আপনার ইমেজগুলো মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা তা যাচাই করুন। 

8. জিওট্যাগিং (Geotagging)

বর্তমান সভ্যতা বিশ্ব অর্থনীতির অংশ হলেও কিছু ব্যবসাসমূহ এখন ঠিক লোকাল লেভেলেই রয়েছে। তাই এসইও অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে সে সকল মানুষদের সাথে আপনার যুক্ত হওয়া বেশ প্রয়োজন। 

বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেমন পেপসি, জিএমসির মতো প্রতিষ্ঠান এর ক্ষেত্রে এর তেমন কোন কার্যকারিতা না থাকলেও ছোট ছোট ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এর ব্যাপক কার্যকারিতা রয়েছে। তাই কিভাবে আপনি লোকাল ট্রাফিককে জিওট্যাগিংয়ের মাধ্যমে উৎসাহিত করতে পারবেন তার কিছু নমুনা তুলে ধরা

 যাক-

  1. প্রতিটি লোকাল বিজনেস পেজগুলোকে অবশ্যই পরিপূর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ হওয়া বেশ প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে নাম, ঠিকানা,মোবাইল নাম্বার, ওয়েবসাইট, বিজনেস ডেসক্রিপশন,থার্ড পার্টি এপ্লিকেশন এবং রিভিউ।
  2. লোকাল কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন এর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। লোকেশান কিংবা এড্রেস ভিত্তিকে কন্টেন্ট সরবরাহ করার মাধ্যকে আপনার ট্রাফিকরা পর্যাপ্ত পরিমান তথ্যের উপর ভিত্তি করে লোকাল বিজনেসগুলো থেকে কেনাকাটা করতে পারবে। ফলে এভাবেই লোকাল বিজনেসগুলো বুস্টিং করার ক্ষেত্রে জিওট্যাগিং ভূমিকা পালন করবে।
  3. অন্যান্য লোকাল বিজনেসের পাশাপাশি লিংক বিল্ডিং এর দিকে নজর দিতে হবে।
  4. এছাড়াও একটি কন্টেন্টে পরিপূর্ণ ইনফরমেশান প্রেজেন্ট থাকলে গ্রাহকরা সাইট ভিজিট করে পণ্য কেনার প্রতি আগ্রহী হবে।

ওয়েবসাইট আর্কিটেকচার (Website Architecture) অপটিমাইজেশন

কোন বিজনেসকে গ্রাহকদের কাছে প্রেজেন্টবেল করে তুলতে চাইলে বিজনেস ওয়েবসাইটের বিকল্প নেই। এটি একই সাথে আপনার কাস্টমারদের কাছে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করার ক্ষেত্রে বেশ ভুমিকা পালন করবে।সেই সাথে আপনার কাস্টমারদের কাছে আপনার বিজনেসের গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তাই একটি বিজনেসের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের ব্যবহারে ২ টি প্রধান সুবিধা পাওয়া যায় 

  • প্রথমত আপনার ওয়েবসাইটটি খুব সহজে আপনার ক্লায়েট এর সার্চ লিস্টে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
  • স্বল্প সময়ে ট্রাফিক জেনারেট করতে ভূমিকা পালন করবে। 

9. সাইট স্পিড (Site Speed) অপটিমাইজেশন

সাইট স্পিড (Site Speed) অপটিমাইজেশন

একটি ওয়েবসাইটকে কেন্দ্র করে যেমন বর্তমানে গ্রাহকরা আপনার কন্টেন্ট সম্পর্কে, বিজনেস সম্পর্কে, জানতে পারবে, ঠিক তেমনি করে আবার একটি ওয়বসাইটের কারণে আপনি আপনার গ্রাহকদের হারাতে পারেন।বিষয়টি শুনতে অবাক লাগলেও তা পুরোপুরি সঠিক।

কারণ আপনার ওয়েবসাইটের গতি যদি স্লো হয় তাহলে কখনোই একজন কাস্টমার আপনার পেজে থেকে কেনাকাটা করবে না। এভাবে ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে আপনি আপনার টার্গেট কাস্টমার হারাতে বসবেন। 

 আপনার ওয়েবসাইট ঠিক যতটা লোডিং হবে ঠিক ততটাই আপনার টার্গেট কাস্টমারদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার এসইও রাংকিং ডেভেলপ করতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

আপনার ওয়েবসাইট ঠিক কত সময় নিয়ে লোডিং হয় তার উপর অনেক কিছু নির্ধারণ করে। মূলত একটি ওয়েবসাইট গুগলের কোর ভাইটাল পূরণ করার জন্য যথেষ্ট। 

আপনার সাইট স্পিড চেক করতে ভিজিট করুন- PageSpeed Insights.

10. মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন 

মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হরে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গুগল মোবাইল ব্যবহারকারিদের সুবিধা অনুযায়ী সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই গুগল টেকনিক্যাল টিম মোবাইল ইউজার ইন্টারফেসের উপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিন ডেভেলপমেন্টে গুরুত্ব দিচ্ছে।

গুগল সার্চ কনসোল ও mobile friendly test ব্যবহার করে আপনার সাইট রেস্পন্সিভ ও মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা জানতে পারবেন।

11. ইউআরএল স্ট্রাকচার (URL Structure) অপটিমাইজেশন 

গুগলের গাইডলাইন মতে “একটি সাইটের URL গঠন যতটা সম্ভব সহজ হওয়া উচিত। ইউআরএল স্ট্রাকচার এমন ভাবে তৈরি হওয়া উচিৎ যাতে সেটা মানুষের পক্ষে সবচেয়ে বোধগম্য হয়, আর আপনার কন্টেন্ট অর্গানাইজ করে। আপনার ইউআরএলগুলিতে আইডি নম্বরের পরিবর্তে পঠনযোগ্য শব্দ বা কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন৷”

কোন ওয়েবপেজের কন্টেন্ট কী সেটা বুঝতে সার্চ ইঞ্জিনগুলো টাইটেল ট্যাগ, লিঙ্ক অ্যাঙ্কর টেক্সট এবং URL কে গুরুত্ব দেয়৷

একটি কন্টেন্টকে সঠিক ভাবে অপটিমাইজ করতে SEO ফ্রেন্ডলি URLs তৈরির করতে হবে। URL অপটিমাইজেশন করতে নিচের টিপসগুলো ফলো করুন।

  • URL-এ কীওয়ার্ড রাখুন।
  • URL- এ একাধিক শব্দ থাকলে, আন্ডারস্কোর (“_”) বা স্পেস এর পরিবর্তে হাইফেন (“ -”) ব্যবহার করুন
  • আপনার URL ছোট এবং বোধগম্য করুন।
  • এবার যেহেতু XML এর অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশন অনুযায়ী এ সর্বাধিক 2048 অক্ষর সাপোর্ট করে, সুতরাং এটি ২০৪৮ অক্ষর থেকে বড় করা যাবে না।
  • স্টপ ওয়ার্ডগুলো বাদ দিন।
  • ছোট হাতের অক্ষর ব্যবহার করুন।
  • ব্লগ পোস্টের URL তারিখ রাখা যাবে না।

12. ইন্টারনাল লিংক (Internal Links) এর ব্যবহার

একটি নতুন পোস্ট লেখার সময়, পুরানো ব্লগ পোস্টগুলিতে ইন্টারনাল লিংক করা একটি ভাল প্রাকটিস। এতে পাঠকরা আপনার সাইটে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে এবং সার্চ ইঞ্জিনগুলি এই পুরানো পোস্টগুলিকে পুনরায় ক্রল করতে পারে ৷

আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে আর্টিকেলের শুরুতে E-A-T নিয়ে আলোচনা করেছিলাম?

আপনার ওয়েবসাইটে তথ্য ,দক্ষতা এবং উপস্থাপনের ক্ষেত্রে সর্বপ্রধান একটি উপায় হল অন্যান্য ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া। 

একটি ইন্টারনাল লিংক হল আপনার ওয়েবসাইটের একটি পৃষ্ঠা থেকে আপনার ওয়েবসাইটের অন্য পৃষ্ঠার লিংক। আমারা যখন ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করি, তখন সার্চ ইঞ্জিন একটা সংকেত পায় যে এই দুটি পেজ একে অপরের সাথে সম্পর্কিত৷ এটি Google কে আপনার পৃষ্ঠাগুলির প্রসঙ্গ এবং কীভাবে বিভিন্ন পৃষ্ঠা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত তা বুঝতে সহায়তা করে৷

তাই, কন্টেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত সব পেজগুলো একটি থেকে অন্যটিতে ইন্টারনাল লিংক করুন। এতে তাদের মধ্যে লিংক জুস বা ইকুইটি পাস হবে, যা র‍্যাঙ্কিং এ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। 

তবে, ইন্টারনাল লিংক করার সময় দুইটি বিষয় সব সময় খেয়াল রাখতে হবে -

  • এটি রিডারের জন্য হেল্পফুল বা প্রয়োজনীয়,
  • আঙ্কর টেক্সট হিসেবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা।

13. এক্সটারনাল লিংক (external link) এর ব্যবহার

এক্সটারনাল লিংক হলো এমন সব লিংক যা অন্য সাইটের কোন পেজকে দেওয়া হয়। আপনার যোগ করা এক্সটারনাল লিঙ্কগুলো আপনার পৃষ্ঠাগুলির উপযোগিতা এবং গুণমান নির্ধারণে সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে সহায়তা করতে পারে৷ 

উচ্চ-মানের পৃষ্ঠাগুলি সাধারণত অন্যান্য উচ্চ-মানের পৃষ্ঠাগুলির সাথে লিংক করে; এইভাবে, সার্চ ইঞ্জিনগুলি আপনার কন্টেন্টটিকে অনুকূলভাবে দেখবে।

এক্সটারনাল লিংক দেওয়ার ক্ষেত্রে এসইও বেস্ট প্রাকটিসগুলো হলো - 

  • এমন পেজে লিংক দিবেন যা রিডারের জন্য হেল্পফুল ও প্রয়োজনীয়,
  • আপনার প্রধান কিওয়ার্ড এর কম্পিটিটর কোন সাইটে লিংক না দেওয়া,
  • কোন ডাটা দিলে সেটার সোর্স যুক্ত করা, 
  • ভালো মানের কন্টেন্টকে লিংক দেওয়া।

অন-পেজ এসইও এবং অফ-পেজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও -এর মধ্যে পার্থক্য কী?

আমরা অন পেজ এসইও নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছি ,তবে অন পেজ এসইও পাশাপাশি অফ পেজ এসইও নিয়েও আমাদের ধারণা রাখা খুবই প্রয়োজন। 

  • অন পেজ এসইও 

আপনার ওয়েবসাইটকে কিংবা কন্টেন্টকে বুস্ট করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর একটি পদ্ধতির নাম হল অন পেজ এসইও। এটিতে অন পেজ এসইও কি-ওয়ার্ড, মেটা ডেসক্রিপশন, টাইটেল ট্যাগ, টেক্সট এবং ওয়েবসাইট স্ত্রাকচার অপটিমাইজেশন করা হয়। 

  • অফ পেজ এসইও 

আপনার সাইটকে র‍্যাংকিংয়ের বাড়াতে অফ পেজ এসইও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যাক-লিংক, E-A-T, লোকাল অ্যাডশ, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানশন এবং পে পার ক্লিকের ইত্যাদি অফ পেজ এসইও এর অংশ। 

তবে, অন পেজ এসইও এর কাজ গুলোর ক্ষেত্রে আপনার অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তবে তবে অফ-পেজ এসইওকেও মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। 

  • টেকনিক্যাল এসইও

এসইও অন-পেজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও- অনেক গুলো বিষয় একই। যেমন, টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডিসক্রিপশন, সাইট স্পীড, মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস, URL স্ত্রাকচার ইত্যাদি। 

তবে আমি তাদের আলাদা রাখতে পছন্দ করি। আমার দৃষ্টিতে, প্রযুক্তিগত এসইও পৃষ্ঠার গতি এবং সাইটের গতি , ডুপ্লিকেট সামগ্রী, সাইটের কাঠামো, ক্রলিং এবং ইন্দেক্সিং এর মতো বিষয়গুলিকে নিয়ে কাজ করে। অন্য কথায়, টেকনিক্যাল অপ্টিমাইজেশান সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটে ফোকাস করে, যখন অন-পেজ অপ্টিমাইজেশান নির্দিষ্ট একটা কন্টেন্ট ফোকাস করে।

অন পেজ এসইও সম্পর্কে শেষ কথা

অন পেজ বা অন সাইট যেটাই বলি না কেনো, সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভাল ফলাফল পেতে এর কোন বিকল্প নাই। আপনি যদি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে চান, বা ব্লগিং করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

এই আর্টিকেলটি ফলো করে আপনি অন পেজ অপটিমাইজেশন করতে পারবেন। আশাকরি এই লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে। কোন প্রস্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

S M Lutfor Rahman
S M Lutfor Rahman
Internet Marketing Professional, from Bagerhat, Bangladesh. I write and share Digital Marketing tips and tutorials in Bangla especially on SEO, Google Adsense, and Affiliate marketing. Follow this blog to equip up for the basic & latest trends of online marketing and freelancing.

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Table of Contents

এই সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Ready for Action?

Cottage out enabled was entered greatly prevent message. No procured unlocked an likewise. Dear but what she been over guy felt body.
Let's Start
envelopephone linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram