অন পেজ এসইও কি?
অন পেজ এসইও হল অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য কোন ওয়েবপেজের ভিতরের উপাদান (টেক্সট, ইমেজ ইত্যাদি) কে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজেশন। একটি ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট, মেটাডেটা এবং কোডের মতো অভ্যন্তরীণ উপাদান সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করার প্রক্রিয়াকে বুঝায়।
অন পেজ এসইও-কে অনেক সময় অন সাইট এসইও বলা হয়। এই কাজটি করার হয় কিওয়ার্ড এর বিপরীতে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট বা ফলাফল (SERP) এর প্রথম পৃষ্ঠায় র্যাঙ্কিং করা।
সহজ করে বললে “On page seo " করার মুল উদ্দেশ্য হল, Google এবং অন্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো যেন আপনার কন্টেন্ট আরও ভালভাবে বুঝতে পারে সেটাতে তাদের সহায়তা করা৷
এই আর্টিকেলে আমরা যা যা জানবোঃ
- অন পেজ এসইও এর প্রাথমিক ধারণা
- কেন এটি প্রয়োজন
- কিভাবে অনপেজ এসইও করা হয়
- অন পেজের জন্য গুগল র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টরগুলো কি কি
- অন পেজ এবং অফ পেজ ও টেকনিক্যাল এসইও এর পার্থক্য

অন পেজ এসইও এর প্রাথমিক ধারণা
আমরা জানি, সার্চ ইঞ্জিন ইন্টারনেটে থাকা ডাটাগুলো সংগ্রহ করার জন্য ক্রলার বা মাকড়সা পাঠায় (নোটঃ এই বিষয়ে আরও জানতে পড়ুন - সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান কি? )। এই ক্রলারগুলো প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট Explore (অনুসন্ধান ও আবিস্কারের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা) করছে। তারা একটা সাইটের লিংক থেকে অন্য সাইটের লিংকে যায় এবং এই সময় একটি কন্টেন্ট ম্যাপ তৈরি করে যা সার্চ ইনডেক্স নামে পরিচিত।
এই সময়, কিছু ক্রলার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট মূল্যায়ন করে, এতে কি ধরনের তথ্য রয়েছে তা নির্ধারণ করে৷ আর এই ডেটা তারপর সার্চ ইঞ্জিনের অ্যালগরিদম দ্বারা মূল্যায়ন করা হয় - এবং এই কন্টেন্টটি সার্চারের (সার্চ ইঞ্জিন ইউজার) কোন কোন কুয়ারি বা প্রশ্নের উত্তর কতটা ভাল করে দিচ্ছে তা নির্ধারণ করে।
সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের এই সব প্রশ্নগুলোকে এসইও এক্সপার্টরা কিওয়ার্ড বলেন। যখন কোন কন্টেন্ট লেখা ও পাবলিশ করার আগে কোন না কোন কিওয়ার্ড টার্গেট করে থাকি। আর, অন পেজ এসইও প্র্যাকটিস করে আমরা নিশ্চিত করতে পারি, যাতে সার্চ ইঞ্জিন আমাদের কন্টেন্টটিকে টার্গেট কিওয়ার্ডে র্যাঙ্কিং দেয়।
ওয়েবসাইটের পেজ এসইও করার জন্য কয়েকটি বিশেষ ধাপ অনুসরণ করতে হয়।
- প্রথমে, ওয়েবপেজের টাইটেল ট্যাগ এমনভাবে তৈরি করতে হয়, যা ব্যবহারকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
- এরপর, মেটা ডেসক্রিপশন লিখতে হয়, যা পেজের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয় এবং ব্যবহারকারীকে ক্লিক করতে উৎসাহিত করে।
- কন্টেন্টের মধ্যে সঠিক হেডিং ব্যবহার করে বিষয়বস্তু গুছিয়ে লিখতে হয়।
- মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়, যা ভিজিটরদের জন্য দরকারি তথ্য সরবরাহ করে।
- সেই সাথে, আকর্ষনীয় ছবি ব্যবহার করে পেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে হয়।
এসব কিছুর পাশাপাশি, যে ব্যক্তি সার্চ করছেন তার উদ্দেশ্য (সার্চ ইন্টেন্ট) বোঝা এবং সেই অনুযায়ী কীওয়ার্ড ব্যবহার করে পেজ অপটিমাইজ করা খুব জরুরি। এই সবকিছু সঠিকভাবে করার মাধ্যমেই একটি ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী করে তোলা যায়।
Google র্যাঙ্কিং পেতে অন পেজ এসইও করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ
সার্চ ইঞ্জিন ক্রলারদের জন্য একটি সাইটের কন্টেন্ট বোঝার সুবিধা এবং ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত করে তোলার জন্য অন-পেজ অপটিমাইজেশন দরকার।
যখন একটি ওয়েবসাইট সঠিকভাবে অপটিমাইজ করা হয়, তখন সেটি সার্চ ইঞ্জিনগুলোর কাছে সহজে বোধগম্য হয় এবং তারা বুঝতে পারে যে এই ওয়েবসাইটটি কী বিষয়ে তথ্য দিচ্ছে। এর ফলে, ওয়েবসাইটটি নির্দিষ্ট কিছু কিওয়ার্ডের জন্য সার্চ রেজাল্টে ভালো র্যাঙ্ক পেতে পারে।
এর পাশাপাশি, অন-পেজ অপটিমাইজেশন ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা (User Experience) উন্নত করতেও সাহায্য করে। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে অপ্রয়োজনীয় কিওয়ার্ড ব্যবহার (Keyword Stuffing) কমানো যায়, যা কন্টেন্টকে আরও সহজবোধ্য করে তোলে।
এছাড়াও, এটি পেজ লোডিং-এর গতি বাড়াতে সাহায্য করে, যা ভিজিটরদের ধৈর্য ধরে ওয়েবসাইটটি ব্রাউজ করতে উৎসাহিত করে। ভালো অন-পেজ অপটিমাইজেশনের কারণে ওয়েবসাইটের ক্লিক-থ্রু রেট (CTR) বাড়ে এবং বাউন্স রেট কমে যায়, যা সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং-এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলো এখন Hummingbird, আধুনিক মেশিন লার্নিং BERT, RankBrain, এর মতো অ্যালগরিদম ব্যবহার করে একটি সার্চ কোয়েরির করার অভিপ্রায় বা উদ্দেশ্য বুঝতে পারে। তাই অনপেজ এসইও শুধু কিছু চেকলিস্টের মধ্যে আটকে নেই। বরং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা ব্যবহারকারীর চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কন্টেন্টকে আরও উপযোগী করে তোলে।
গুগলের মতো জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন, কোন ওয়েবপেজ- সার্চারের ইন্টেনশন (সার্চ করার কারণ) কতটা পূরণ হয়েছে। এক্ষেত্রে, কন্টেন্টের মান এবং ওয়েবপেজের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স – এই দুইটি বিষয়ই বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়।যদি সার্চ ইঞ্জিন মনে করে যে পেজটি পাঠকদের জন্য প্রয়োজনীয় এবং তথ্যপূর্ণ, তবে সেটি সার্চ রেজাল্টের প্রথম দিকে স্থান পায়।
এখানে বলে রাখা ভালো rank পেতে শুধু ভাল কন্টেন্ট এর কোন বিকল্প নেই। এসইও-এর জন্য টপিক-সংশ্লিষ্ট এবং তথ্যপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ কন্টেন্ট ভালো না হলে গুগলের প্রথম পেজে আসা প্রায় অসম্ভব।
গুগলের অ্যালগরিদমগুলো কমপ্লেক্স প্রোগ্রাম, যা কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্নের জন্য সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক পেজগুলো খুঁজে বের করে এবং সেগুলোকে র্যাঙ্ক দেয়। উদাহরণস্বরূপ, গুগলের পান্ডা অ্যালগরিদম খারাপ বা নিম্নমানের কন্টেন্ট খুঁজে বের করে এবং সেগুলোর র্যাঙ্ক কমিয়ে দেয়।
এজন্য অন-পেজ এসইও গুগল র্যাঙ্কিং -এর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি ওয়েবপেজের মধ্যে অন-পেজ এসইও কীভাবে করতে হয়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা নিচে করা হলো।
অন-পেজ এসইও এবং অফ-পেজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও -এর মধ্যে পার্থক্য কী?
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান-কে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। আমরা অন পেজ এসইও নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছি ,তবে অন পেজ এসইও পাশাপাশি অফ পেজ এসইও নিয়েও আমাদের ধারণা রাখা খুবই প্রয়োজন।

- অন পেজ এসইও
আপনার ওয়েবসাইটকে কিংবা কন্টেন্টকে বুস্ট করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর একটি পদ্ধতির নাম হল অন পেজ এসইও। এটিতে অন পেজ এসইও কি-ওয়ার্ড, মেটা ডেসক্রিপশন, টাইটেল ট্যাগ, টেক্সট এবং ওয়েবসাইট স্ত্রাকচার অপটিমাইজেশন করা হয়।
- অফ পেজ এসইও
আপনার সাইটকে র্যাংকিংয়ের বাড়াতে অফ পেজ এসইও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যাক-লিংক, E-A-T, লোকাল অ্যাডশ, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানশন এবং পে পার ক্লিকের ইত্যাদি অফ পেজ এসইও এর অংশ।
তবে, অন পেজ এসইও এর কাজ গুলোর ক্ষেত্রে আপনার অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তবে তবে অফ-পেজ এসইওকেও মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
- টেকনিক্যাল এসইও
এসইও অন-পেজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও- অনেক গুলো বিষয় একই। যেমন, টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডিসক্রিপশন, সাইট স্পীড, মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস, URL স্ত্রাকচার ইত্যাদি।
তবে আমি তাদের আলাদা রাখতে পছন্দ করি। আমার দৃষ্টিতে, প্রযুক্তিগত এসইও পৃষ্ঠার গতি এবং সাইটের গতি , ডুপ্লিকেট সামগ্রী, সাইটের কাঠামো, ক্রলিং এবং ইন্দেক্সিং এর মতো বিষয়গুলিকে নিয়ে কাজ করে। অন্য কথায়, টেকনিক্যাল অপ্টিমাইজেশান সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটে ফোকাস করে, যখন অন-পেজ অপ্টিমাইজেশান নির্দিষ্ট একটা কন্টেন্ট ফোকাস করে।
কিভাবে অন পেজ এসইও করতে হয় (গাইড)
একটি ওয়েবসাইটের এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। Website এর অন পেজ এসইও করার সময় আপনাকে যে যে বিষয় গুলো নজর দিতে হবে সেগুলো হল -
একটি ওয়েবসাইটের এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। Website এর অন পেজ এসইও করার সময় আপনাকে যে যে বিষয় গুলো নজর দিতে হবে সেগুলো হল -
ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে "Content is king"। এই উক্তিটি কন্টেন্ট মার্কেটিং কিংবা এসইও সেক্টরের এক অলিখিত সত্যের নাম। এসইও করতে হলে কন্টেন্ট লাগবে ।
একটি ইঞ্জিন ছাড়া যেমন ব্র্যান্ডেড স্পোর্টস করে কোন মূল্য নেই ঠিক তেমনি এসইও বিহীন একটি কন্টেন্টেও তেমনই মূল্যহীন। অনেক সময় কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারযোগ্য হলেও এসইও বিহীন একটি কন্টেন্ট এর অস্তিত্ব বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
তাই অন সাইট এসইওতে গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক -
1. কিওয়ার্ড (keyword) রিসার্চ ও এর ব্যবহার করা

কিওয়ার্ড হল এমন শব্দ এবং বাক্যাংশ, যা মানুষজন সার্চ ইঞ্জিনে টাইপ করে কোন বিষয়ে জানার জন্য। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাঠকদের সার্চের উদ্দেশ্য পুরন বা সমাধান দেবার প্রধান মাধ্যম হল তারা যেসব কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে সেগুলকে কেন্দ্র করে আর্টিকেল লেখা।
একটি ওয়েবপেজকে google search এর মাদ্ধমে পাঠকদের কাছে পৌঁছানর জন্য কিওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশান এর বিকল্প নেই।
কিওয়ার্ড রিসার্চ ও অপ্টিমাইজেশান অনেক ক্ষেত্রে বেশ কঠিন। ধরুন আপনি কোন ফার্নিচার নিয়ে কন্টেন্ট লিখবেন। সে ওয়েবসাইটে একজন পাঠক কি খুঁজবে?
সোফা, চেয়ার, ডাইনিং টেবিল,সহ নানান আসবাব সামগ্রি। তাই এই শব্দগুলো যদি আপনি কিওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজে আপনার কন্টেন্ট তার টার্গেট কাস্টমারকে রিচ করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ভিজিটর নানান ধরণের অজানা তথ্যসমূহ জানতে ও বুঝতে পারবে।
কিওয়ার্ড এর ব্যবহার করার টিপস
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হলে কনটেন্ট এর মধ্যে কিওয়ার্ড এর ব্যবহার করতে হবে।
- কোন আর্টিকেলের টাইটেল, H1, মূল কন্টেন্ট ও হেডিং এ কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
- এছাড়াও, ইমেজের alt tag ও URL এ Keyword টি ব্যব্যবহার করা যাবে।
- তবে কিওয়ার্ডটি বারে বারে ব্যবহার বা keyword staffing করা যাবে না।
- এই ক্ষেত্রে আপনি রিলেটেড কিওয়ার্ড (related keyword) ও সমার্থক শব্দ (synonyms) ব্যবহার করতে পারেন। বর্ণিত উপায়ে পেজ এর অপটিমাইজ করে অধিকতর কিওয়ার্ড এ র্যাঙ্কিং পাওয়া যাবে।
- কারন, আপনার কনটেন্ট এর Depth বৃদ্ধি পাবে, ও কিওয়ার্ড এর অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকা যাবে।
2. এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং (SEO Friendly Article Writing)
সার্চারদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সে অনুযায়ী এসইও কন্টেন্ট রেডি করে আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি শৈল্পিক ব্যাপার। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে "Content is king"। এই উক্তিটি কন্টেন্ট মার্কেটিং কিংবা এসইও সেক্টরের এক অলিখিত সত্যে। এসইও করতে বা গুগলে র্যাঙ্কিং করতে হলে high quality content লাগবে।

একটি ইঞ্জিন ছাড়া যেমন ব্র্যান্ডেড স্পোর্টস করে কোন মূল্য নেই ঠিক তেমনি অপ্টিমাইজেশান না করা Content ও তেমনই মূল্যহীন। অনেক সময় কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারযোগ্য হলেও অন পেজ অপটিমাইজেশন বিহীন একটি আর্টিকেল খুববেশি মানুষের কাছে পৌঁছান সম্ভব হয় না। তাই অন সাইট এসইওতে গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে চলুন।
এখন, সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার কনটেন্ট এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে সঠিক ধারনা দিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক -
পঠনযোগ্যতা বা রিডেবলিটি নিশ্চিত করুন
এসইও কন্টেন্ট বলতে মুলত হিউম্যান ও সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি কন্টেন্টকে বুঝিয়ে থাকে। ধরুন আপনি একটি ব্লগ পোস্ট লিখেছেন করেছেন কিন্তু সেটা পাঠকদের কাছে বোধগম্য নয়। তাহলে কেন পাঠক আপনার ব্লগ আর্টিকেল পড়বে? অনলাইনে তো একই বিষয়ে অনেক আর্টিকেল পাওয়া যায়, তাই পাঠকদের জন্য লিখতে হবে কতটা রিডেবল বা সহজে বুঝেয়ে বলা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।
মাত্রাতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না
কখনোই মাত্রাতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। এটি যেমন ওয়েবসাইট এর জন্য ক্ষতিকর ঠিক তেমনি করে SERP Ranking এর জন্য ক্ষতিকর। যেমন- পাঠক যেমন আপনার লেখা পড়তে গিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আবার গুগল পান্ডা Algorithm এই কিওয়ার্ড মাত্রাতিরিক্ত ও আনন্যাচারাল ভাবে ব্যবহার করলে পেনাল্টি দিয়ে থাকে।
সাব-হেডিং ব্যবহার করে আর্টিকেলটি অর্থবহ করুন
সাব-হেডিং হলো প্রধান শিরোনাম বা টাইটেল- এর নিচে থাকা টেক্সট ফন্ট থেকে বড় করে যে লেখাগুলো থাকে সেগুলো। একটি বড় কন্টেন্টকে ধাপে ধাপে ভাঙ্গতে এই হেডিং গুলো ব্যবহার করা হয়। HTML - এর H2, H3, H4, H5, H6 ট্যাগ গুলো সাব-হেডিং হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
একটি কন্টেন্টে সাব হেডিং পাঠকদের কাছে বেশ আকৃষ্ট করে। সাব হেডিং-এর মাধ্যমে সারসংক্ষেপ আকারে কন্টেন্টের যাবতীয় তথ্যাবলি অল্প ভাষায় বর্ণনা করা যায়।
এমন ভাবে সাব-হেডিং তৈরি করুন যেন আপনি ঠিক কোন বিষয় নিয়ে লিখেছেন সেটা আপনার অর্ডিয়েন্স পুরোপুরি ধারণা পাবে। এটি ট্রাফিক ধরে রাখতে বা পেজ অন টাইম বাড়াতে সাহায্য করে।
পেজ seo করতে আমরা এই সাব হেডিং-গুলোতে কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারি। SEO-অপ্টিমাইজড পোস্টের শিরোনামে (H1 শিরোনাম ট্যাগ) এ মেইন কিওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। এবং কনটেন্ট এর লেন্থ বড় হলে H2 শিরোনাম এবং তারপর H3 শিরোনামেও কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
ছোট প্যারার মাধ্যমে আর্টিকেলটি ফুটিয়ে তুলুন
একটি কন্টেন্টকে রিডেবল করে তোলার জন্য অবশ্যই ছোট বাক্য কিংবা অনুচ্ছেদ গঠন করুন। আপনি যদি বড় অনুচ্ছেদ কিংবা বাক্য দ্বারা আপনার কন্টেন্ট কোন ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেন তাহলে পাঠকরা আপনার কন্টেন্ট পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। যা আপনার সাইটের পাশাপাশি এবং ব্লগার হিসেবে আপনার জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠবে।
নাম্বার বা বুলেট লিস্ট ব্যবহার করুন
মেটা আকৃতির মনে হলেও আপনার কন্টেন্টকে তথ্যবহুল করে তোলার ক্ষেত্রে আপনি বুলেট লিস্ট ব্যবহার করতে হবে। কন্টেন্ট এর কঠিন দিকগুলো আপনি যদি বুলেট আকারে উপস্থাপন করেন তাহলে খুব সহজে পাঠকদের কাছে তা আকর্ষণীয় মনে হবে এবং তারা সেই কন্টেন্ট খুব আগ্রহের সহীত পড়তে পারবে। পাশাপাশি আপনার সাইটও ভিজিট করবে।
সার্চারদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সে অনুযায়ী এসইও কন্টেন্ট রেডি করে আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি শৈল্পিক ব্যাপার।
আপনি যদি এই কাজের পূর্বে অভিজ্ঞতা না থাকে আপনার জন্য এই কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তবে এসইও শিখে আপনি তার মাধ্যমে আপনার কন্টেন্ট জেনারেট করেন তাহলে বিষয়টি অল্প সময়েই আপনার জন্য বেশ সহজ হয়ে উঠবে।
3. টাইটেল ট্যাগ (Title Tag) অপটিমাইজেশন
আপনার টাইটেল ট্যাগ সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে আপনার পেজের মূল বিষয় সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়, অনেকটা বইয়ের নামের মতো। এর মানে হলো, এটা সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অন-পেজ এসইও উপাদানগুলোর মধ্যে একটি। আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, কীওয়ার্ড টাইটেল ট্যাগে থাকলে সেই কীওয়ার্ডের জন্য আপনার র্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

র্যাঙ্কিং -এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক গুলোর একটি হলো, টাইটেল ট্যাগ বা শিরোনাম। একটি পোস্টে কি আছে সেটা একটি টাইটলে বা শিরোনাম দেখলে বোঝা যায়। আর এই কারণে সার্চ ইঞ্জিন এই টাইটেল ট্যাগটিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
টাইটলে, প্রধান কিওয়ার্ড এর ব্যবহার অবশ্যই করতে হবে। এবং, এটিকে ফোকাস রেখে একটি কন্টেন্টকে প্রেজেন্টেবল করে তোলার দিকে জোর দিতে হবে।

একটি টাইটেল আপনার ওয়েবপেজের কন্টেন্টকে র্যাংক করানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। পাশাপাশি এটি অন্যান্য পেজের সাথে আপনার পেইজের কন্টেন্টকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে তুলতে সাহায্য করবে। কারণ টাইটেল ভিন্ন হলে পাঠকরা যেমন ভিজট করবে ঠিক তেমনি তথ্যবহুল আর্টিকেল এর মাধ্যমে পাঠকরাও নতুন তথ্যসমুহ সম্পর্কে জানতে পারবে।
- পোস্টের টাইটলে: আপনার পাঠক কীভাবে আপনার ওয়েবসাইটে যে টাইটলে দেখেন।
- পোস্ট মেটা টাইটলে: সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে সার্চ ফলাফলে আপনার পোস্টে যে টাইটলে দেখায়।
- মেটা টাইটলে আপনার কীওয়ার্ড থাকা গুরুত্বপূর্ণ, ও সেটা ৬০ অক্ষরের কম রাখুন।
4. মেটা ডেসক্রিপশন (Meta Description) অপটিমাইজেশন
সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারীদেরকে জন্য একটি ওয়েবপেজের বিষয়বস্তু সারসংক্ষেপ আকারে আকারে লিখতে হয় এটাকে মেটা ডিসক্রিপশন বলা হয়। একজন একজন উইজার তার জন্য আপনার আর্টিকেলটি উপযুক্ত কিনা মেটা ডেস্ক্রিপশন পড়ে বুঝতে পারে।
আপনার পছন্দের এসইও প্লাগিন ব্যবহার করে মেটা ডিসক্রিপশন দিন। খেয়াল রাখবেন এটি জেন ১৬০ ওয়ার্ডের বেশি না হয় এবং এতে কিওয়ার্ড দিবেন।
কোন ওয়েবপেইজে এসইও তার আপেক্ষিক অভাব সত্ত্বেও তাদের দুটি সুবিধা প্রদান করে-
- আপনার ওয়েবপেইজটিতে ঠিক কোন বিষয়ের তত্থ্য প্রদান করা হয়েছে তা পাঠকদের জন ঠিক কতোটা উপযুক্ত সে সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে।
- তবে, মেটা ডেসক্রিপশন কোন র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর নয়। তারপরেও যেহেতু অনেকক্ষেত্রে গুগল এটা SERP -এ দেখায়, সুতরাং এটি ক্লিক থ্রো রেট বাড়াতে ভুমিকা রাখে।
5. ইমেইজ এসইও (Image SEO Optimization) করার উপায়

ইমেজ এসইও হলো Google এবং অন্যান্য ইমেজ সার্চ ইঞ্জিনে ছবি ছবি র্যাঙ্ক করার প্রক্রিয়া। যেহেতু ভিজ্যুয়াল সার্চ এর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে — এটি আপনাকে কিছুটা ট্র্যাফিক পেতে সাহায্য করতে পারে।
এই পর্যায়ে আপনাকে ইমেজ এসইও করতে শিখতে হবে। গুগল ছবি পড়তে পারে না। ইমেজ অ্যাঙ্কর টেক্সটে কীওয়ার্ড ব্যবহার করার সময় আমি ভাল ফলাফল পেয়েছি (এবং একটি ছবির নামেও ), তাই আপনার আপনার ইমেজ অল্ট টেক্সটে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।
ইমেজ অপ্টিমাইজেশান হল আপনার ছবির ফাইলের সাইজ যতটা সম্ভব কমিয়ে কিন্তু গুণমান রেখে পেজ লোডের টাইম কম রাখার প্রক্রিয়া।
আমি ইতিমধ্যে শুরুতে ভিজুয়াল এসেট এর কথা আপনার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন এর টেকনিক্যাল দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক। আপনার ইমেইজ এসইও অপটিমাইজেশন - এর ক্ষেত্রে যে তথ্যগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত তা হল -
- এসইও ফ্রেন্ডলি ট্যাগ যুক্ত করুন।
- দ্রুত লোডিং এর জন্য সঠিক ফরম্যাট এবং ফাইলের ধরণ নির্বাচন করুন।
- ইমেজ এর পরিবর্তনে ফাইল নিয়মগুলো কাস্টমাইজড করুন।
- আপনার ইমেজগুলো মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা তা যাচাই করুন।
6. পেজ লোড স্পিড ( Page Speed ) অপ্টিমাইজেশান

একটি ওয়েবসাইটকে কেন্দ্র করে যেমন বর্তমানে গ্রাহকরা আপনার কন্টেন্ট সম্পর্কে, বিজনেস সম্পর্কে, জানতে পারবে, ঠিক তেমনি করে আবার একটি ওয়বসাইটের কারণে আপনি আপনার গ্রাহকদের হারাতে পারেন।বিষয়টি শুনতে অবাক লাগলেও তা পুরোপুরি সঠিক।
কারণ আপনার ওয়েবসাইটের গতি যদি স্লো হয় তাহলে কখনোই একজন কাস্টমার আপনার পেজে থেকে কেনাকাটা করবে না। এভাবে ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে আপনি আপনার টার্গেট কাস্টমার হারাতে বসবেন।
আপনার ওয়েবসাইট ঠিক যতটা লোডিং হবে ঠিক ততটাই আপনার টার্গেট কাস্টমারদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার এসইও রাংকিং ডেভেলপ করতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনার ওয়েবসাইট ঠিক কত সময় নিয়ে লোডিং হয় তার উপর অনেক কিছু নির্ধারণ করে। মূলত একটি ওয়েবসাইট গুগলের কোর ওয়েব ভাইটাল ভালো করার জন্য যথেষ্ট। আপনার সাইট স্পিড চেক করতে ভিজিট করুন- PageSpeed Insights.
7. মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন
মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হরে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গুগল মোবাইল ব্যবহারকারিদের সুবিধা অনুযায়ী সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশানে গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই গুগল টেকনিক্যাল টিম মোবাইল ইউজার ইন্টারফেসের উপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিন ডেভেলপমেন্টে গুরুত্ব দিচ্ছে।
গুগল সার্চ কনসোল ও mobile friendly test ব্যবহার করে আপনার সাইট রেস্পন্সিভ ও মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা জানতে পারবেন।
8. ইউআরএল স্ট্রাকচার (URL Structure) অপটিমাইজেশন
গুগলের গাইডলাইন মতে “একটি সাইটের URL গঠন যতটা সম্ভব সহজ হওয়া উচিত। ইউআরএল স্ট্রাকচার এমন ভাবে তৈরি হওয়া উচিৎ যাতে সেটা মানুষের পক্ষে সবচেয়ে বোধগম্য হয়, আর আপনার কন্টেন্ট অর্গানাইজ করে। আপনার ইউআরএলগুলিতে আইডি নম্বরের পরিবর্তে পঠনযোগ্য শব্দ বা কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন৷”
কোন ওয়েবপেজের কন্টেন্ট কী সেটা বুঝতে সার্চ ইঞ্জিনগুলো টাইটেল ট্যাগ, লিঙ্ক অ্যাঙ্কর টেক্সট এবং URL কে গুরুত্ব দেয়৷
একটি কন্টেন্টকে সঠিক ভাবে অপটিমাইজ করতে SEO ফ্রেন্ডলি URLs তৈরির করতে হবে। URL অপ্টিমাইজেশান করতে নিচের টিপসগুলো ফলো করুন।
- URL-এ কীওয়ার্ড রাখুন।
- URL- এ একাধিক শব্দ থাকলে, আন্ডারস্কোর (“_”) বা স্পেস এর পরিবর্তে হাইফেন (“ -”) ব্যবহার করুন
- আপনার URL ছোট এবং বোধগম্য করুন।
- এবার যেহেতু XML এর অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশন অনুযায়ী এ সর্বাধিক 2048 অক্ষর সাপোর্ট করে, সুতরাং এটি ২০৪৮ অক্ষর থেকে বড় করা যাবে না।
- স্টপ ওয়ার্ডগুলো বাদ দিন।
- ছোট হাতের অক্ষর ব্যবহার করুন।
- ব্লগ পোস্টের URL তারিখ রাখা যাবে না।
9. ইন্টারনাল লিংক (Internal Links) এর ব্যবহার করার উপায়
একটি নতুন পোস্ট লেখার সময়, পুরানো ব্লগ পোস্টগুলিতে ইন্টারনাল লিংক করা একটি ভাল প্রাকটিস। এতে পাঠকরা আপনার সাইটে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে এবং সার্চ ইঞ্জিনগুলি এই পুরানো পোস্টগুলিকে পুনরায় ক্রল করতে পারে ৷
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে আর্টিকেলের শুরুতে E-A-T নিয়ে আলোচনা করেছিলাম?
আপনার ওয়েবসাইটে তথ্য ,দক্ষতা এবং উপস্থাপনের ক্ষেত্রে সর্বপ্রধান একটি উপায় হল অন্যান্য ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া।
একটি ইন্টারনাল লিংক হল আপনার ওয়েবসাইটের একটি পৃষ্ঠা থেকে আপনার ওয়েবসাইটের অন্য পৃষ্ঠার লিংক। আমারা যখন ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করি, তখন সার্চ ইঞ্জিন একটা সংকেত পায় যে এই দুটি পেজ একে অপরের সাথে সম্পর্কিত৷ এটি Google কে আপনার পৃষ্ঠাগুলির প্রসঙ্গ এবং কীভাবে বিভিন্ন পৃষ্ঠা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত তা বুঝতে সহায়তা করে৷
তাই, কন্টেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত সব পেজগুলো একটি থেকে অন্যটিতে ইন্টারনাল লিংক করুন। এতে তাদের মধ্যে লিংক জুস বা ইকুইটি পাস হবে, যা র্যাঙ্কিং এ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
তবে, ইন্টারনাল লিংক করার সময় দুইটি বিষয় সব সময় খেয়াল রাখতে হবে -
- এটি রিডারের জন্য হেল্পফুল বা প্রয়োজনীয়,
- আঙ্কর টেক্সট হিসেবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা।
10. এক্সটারনাল লিংক (external link) এর ব্যবহার করার উপায়
এক্সটারনাল লিংক হলো এমন সব লিংক যা অন্য সাইটের কোন পেজকে দেওয়া হয়। আপনার যোগ করা এক্সটারনাল লিঙ্কগুলো আপনার পৃষ্ঠাগুলির উপযোগিতা এবং গুণমান নির্ধারণে সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে সহায়তা করতে পারে৷
উচ্চ-মানের পৃষ্ঠাগুলি সাধারণত অন্যান্য উচ্চ-মানের পৃষ্ঠাগুলির সাথে লিংক করে; এইভাবে, সার্চ ইঞ্জিনগুলি আপনার কন্টেন্টটিকে অনুকূলভাবে দেখবে।
এক্সটারনাল লিংক দেওয়ার ক্ষেত্রে এসইও বেস্ট প্রাকটিসগুলো হলো -
- এমন পেজে লিংক দিবেন যা রিডারের জন্য হেল্পফুল ও প্রয়োজনীয়,
- আপনার প্রধান কিওয়ার্ড এর কম্পিটিটর কোন সাইটে লিংক না দেওয়া,
- কোন ডাটা দিলে সেটার সোর্স যুক্ত করা,
- ভালো মানের কন্টেন্টকে লিংক দেওয়া।
অন পেজ এসইও নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
"অন পেজ" এসইও বা On-Page SEO ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ও স্টাফিং এর অপ্টিমাইজেশন নিয়ে ঘিরে।
এই আর্টিকেলটি ফলো করে আপনি অন পেজ অপটিমাইজেশন করতে পারবেন। আশাকরি এই লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে। কোন প্রস্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
প্রতিটি পৃষ্ঠায় কি এসইও করতে হবে?
জি, প্রতিটি পৃষ্ঠায় অন পেজ ও অফ পেজ এসইও করতে হয়।
অন পেজ এসইও এর প্রধান সুবিধা কি?
On page SEO এর প্রধান সুবিধা হল এটি নিজের ওয়েবসাইটের ভিতরে করতে হয়। প্রাসঙ্গিক, ভালো কন্টেন্ট প্রকাশ করার পাশাপাশি, পোস্টের শিরোনাম শিরোনাম, মেটা এবং ছবিগুলি অপ্টিমাইজ করা ফলে এটি ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়।
শুধুমাত্র On Page SEO করে Rank করা সম্ভব
সম্ভব, যখন আপনি যে কিওয়ার্ডে Rank করতে চান সেটির ডিফিকাল্টি কম হয়। কিন্তু কিওয়ার্ডের ডিফিকাল্টি বেশি হলে অফ পেজ এসইও করতে হয়। আবার কোন ওয়েবসাইট টেকনিক্যাল এসইও ঠিক না থাকলে সেটা ইন্ডেক্সিং ও নাও হতে পারে।
অন পেজ এসইও এর মূল উপাদান কোনটি?
অন পেজ এসইও-এর মূল উপাদানগুলো হলো: টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডিসক্রিপশন, হেডিং ট্যাগ (H1, H2), কনটেন্ট কোয়ালিটি, কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন, ইমেজ অল্ট টেক্সট, এবং ইউআরএল স্ট্রাকচার। এগুলো সার্চ ইঞ্জিনকে কনটেন্ট বুঝতে সহায়তা করে।
কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন সার্চ ইঞ্জিনকে জানাতে সাহায্য করে যে, পেজটি কোন বিষয়ে। এটি র্যাঙ্কিং উন্নত করতে সহায়ক।
ভালো টাইটেল ও মেটা ডিসক্রিপশন কেমন হওয়া উচিত?
একটি টাইটেল ট্যাগ 60 অক্ষরের বা 580px এর মধ্যে হতে হয়। এবং মেটা ডিসক্রিপশন হতে হবে ১৫০–১৬০ অক্ষরের বা 920px এর মধ্যে হয়। এসইও টাইটেল ও ডিসক্রিপশনে কিওয়ার্ড থাকা উচিৎ এবং এর লেখা এমন হওয়া উচিৎ যেন সেটি মানুষের আগ্রহ জাগাতে পারে।

ধন্যবাদ। খুব সুন্দরভাবে সব তুলে ধরেছেন।
Good
Thank you for your informative article on SEO.