গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে কাজ করেন, অথচ Invalid traffic টার্মটি শোনেনে নি এমন কাউকে পাওয়া যাবে না। ইনভ্যালিড বা অবৈধ ট্র্যাফিকের কারণে কোনও বিজ্ঞাপনদাতার ব্যয় বা কোনও বিজ্ঞাপন প্রকাশকের উপার্জন বাড়িয়ে তুলতে পারে।
একজন অ্যাডসেন্স পাবলিশার হিসেবে, ইনভ্যালিড ট্রাফিক আপনার জন্য একটি ভয়ানক দুঃস্বপ্ন। ইন্টেন্সিভ ইনকামের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এর কারণে আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট লিমিট বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
গুগল অ্যাডসেন্স এর পলিসিররুলস অনুযায়ী - বিজ্ঞাপনে ক্লিকগুলি অবশ্যই প্রকৃত ব্যবহারকারীর হতে হবে। যে কোনও উপায় যা কৃত্রিমভাবে ক্লিক বা প্রভাবিত কর নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অবৈধ ক্লিকের কারণে, আপনি আপনার আনুমানিক (Estimated Earning) এবং চূড়ান্ত উপার্জনের মধ্যেও পার্থক্য দেখতে পাবেন।
আসুন জেনে নেই, ইনভ্যালিড ট্রাফিক সম্পর্কে বিস্তারিত-
অ্যাডসেন্স ইনভ্যালিড ট্রাফিক (Invalid Traffic Definition in Bangla) কী?
যারা ব্লগিং করে থেকে টাকা আয় করতে চান, বিশেষ করে অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে তাদের, Invalid Traffic সম্পর্কে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
ইনভ্যালিড ট্রাফিক হল পাবলিশার এর নিজের, সফটওয়ার, রোবট (বট) দিয়ে জেনারাট করা, ও ভুলে বা Accidental ক্লিক ও Impression.
গুগল অ্যাডসেন্স দৃষ্টিকোণ থেকে, অবৈধ ট্র্যাফিককে কোনও Bots এর মাধ্যমে প্রকাশকের উপার্জনকে কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর উপায় হিসাবে দেখা হয়। এটি গুগল অ্যাডসেন্স শর্তাদির পরিপন্থী। আর এর Common রেজাল্ট হলম অ্যাড লিমিট, কখনো কখনো অ্যাকাউন্ট Disable হতে পারে।
ইনভ্যালিড ট্রাফিক এর মধ্যে কোনগুলি পড়ে-
- নিজ সাইটে লাইভ বিজ্ঞাপনগুলিতে ক্লিক করা।
- এক বা একাধিক ব্যবহারকারীর দ্বারা বারবার বিজ্ঞাপন ক্লিক বা ইমপ্রেশন দেওয়া।
- আকারে ইঙ্গিতে ভিজিটরকে এড-এ করতে বলা (উদাহরণস্বরূপঃ যে কোনও ভাষায় ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে উৎসাহিত করে এমন কোনও ভাষা, ট্রিক্স অবলম্বন করা যা দুর্ঘটনাজনিত ক্লিক-এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে।)
- সফ্টওয়্যার ও বট (রোবট) দিয়ে ক্লিক বা ট্র্যাফিক জেনারেট করা।
- কারও কন্টেন্ট কপি করে ধরা খেলে।
আমাদের কেউ কেউ বেশ চালাক, একবার সাইটে অ্যাডসেন্স চালু হলে, লো কোয়ালিটি , কপি করে কন্টেন্ট দেন। আবার অনেক অ্যাড এমন ভাবে বসান যাতে করে ক্লিক বেশি পড়ে। মনে রাখবেন, চোরের ১০ দিন গুগলের একদিন। এগুলো করা যাবে না।
Invalid ট্র্যাফিক প্রতিরোধে করার উপায়
ইনভ্যালিড ট্রাফিক এর ঝুঁকি থেকে বাঁচতে নিচের টিপস গুলি অনুসরণ করুন।
নিয়মিত সাইটের ট্র্যাফিক এনালাইসিস করুন
আপনার সাইটের ভিজিটরদের সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে গুগল অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করুন এবং কোনও সন্দেহজনক ব্যবহারকারীর আচরণের সন্ধান করুন। (ব্যবহারকারীরা ভৌগোলিকভাবে কোথা থেকে এসেছেন? তারা আমার সাইটে কোন পৃষ্ঠা দেখেন?) আপনার ট্র্যাফিক কীভাবে এনালাইসিস বুঝতে হয় তা শিখুন।
এখন,
কেউ ইচ্ছে করে আপনার ক্ষতি করতে পারে, তাই, কোন আইপি থেকে প্রতিদিন বারবার ভিউ পড়লে সেটা ব্লক করা যেতে পারে । ওয়ার্ডপ্রেস এর বিভিন্ন প্লাগিন আছে যা দিয়ে আইপি Black List করা যায়।
এক্ষেত্রে আমার প্রিয় iThemes security ও AdSense Invalid Click Protector.
তাছাও,
কেউ ক্ষতি করার জন্য ট্রাফিক পাঠাচ্ছে সন্দেহ হলে গুগলকে জানাতে এই ফর্ম পূরণ করেন।
বট বা কোন ব্যক্তি ইচ্ছেকৃত ভাবে আপনার ক্ষতি করতে চাইলে, আপনার কাজ হবে সেটা গুগলকে আগেভাগে জানিয়ে রাখা।
ব্রাউজার এ Adblocker ব্যবহার করুন
আপনি যদি কোনও বিজ্ঞাপনে আগ্রহী হন, নিজের সাইটের কোন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা যাবে না। এটি করলে এড লিমিট বা ডিজাবল হতে পারে।
তাই, আপনার কম্পিউটার এর সব Browser এ Adblocker ব্যবহার করেন, তা হলে ভুলে ক্লিক করার সম্ভাবনা থাকবে না। আমার প্রিয় google chrome এডব্লকার - AdBlock. Mozilla তে এডব্লকার আছে। আপনি গুগল করলে পেয়ে যাবেন।
বন্ধু বা আত্মীয়কে দিয়ে ক্লিক করাবেন না
হোক সে অন্য জেলায়, বিভাগে বা দেশে থাকে, কাউকে দিয়ে এমনটি করালে সহজেই গুগল ধরে ফেলতে পারে। সুতরাং আপনি যদি সিরিয়াস হন তবে সাইটের লিংক যত্রতত্র শেয়ার করবেন না।
অর্গানিক ট্রাফিক থেকে কম আয় হলেও ভাল, কারন একমাসে একটু বেশি আয় করার চেয়ে, প্রতি মাসে কীছু আয় করা অনেক ভাল। তাই, এসইও করতে শিখুন, নতুন পোস্ট দিতে থাকুন, অর্গানিক ভিজিটর বাড়ান।
আর অ্যাডসেন্স কীভাবে কাজ করে সেটা জানুন ও রুলস মেনে কাজ করুন।
লোভ সংবরণ করুন
বেশি চাহবেন না, কোন প্রকার আইপি হাইড, বন্ধুর বা ল্যাব-এর কম্পিউটার ব্যবহার করে ক্লিক করবেন না।
এটা ঝুঁকিপূর্ণ। লংটার্ম চিন্তা করেন।
আমার মন্তব্য
সতর্কতা বজায় রাখুন, বেশি চাহিদা করা যাবে না। ভিজিটর বাড়ান, আয় এমনি বাড়বে।
ভাল লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর প্রস্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।