নতুন যারা ব্লগিং বা ইউটিউবিং করে টাকা আয় করতে চান,গুগল এডসেন্স (google adscence) তাদের জন্য সবচেয়ে ভাল উপায়। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা তোলা বা আনা বেশ সহজ।
অনলাইন থেকে উপার্জিত টাকা তোলা বাংলাদেশীদের জন্য বরাবরই ঝামেলার। কিন্তু, এডসেন্স থেকে টাকা আনা তেমন ঝামেলা না।
আপনি ব্যাংক ট্রান্সফার, চেক ও ওয়্যার ট্র্যান্সফার এর যেকোন একটি ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারবেন।
মজার ব্যাপার হলো, গুগোল এডসেন্স থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়।অর্থাৎ, আপনি একবার সঠিক পদ্ধতি সেট করে দিলে, পরবর্তীতে আর কিছুই করতে হবে না।
পেমেন্ট মেথড আসলে ফান্ড/ ব্যাল্যান্স ট্র্যান্সফার এর পদ্ধতি। অর্থাৎ, এডসেন্স এর balance থেকে টাকা যেসকল উপায়ে আপনি আপনার কাছে আনতে পারবেন সেগুলি।
গুগল অ্যাডসেন্স মোটামুটি ৫টি মাধ্যমে টাকা দেয়। তবে বাংলাদেশের প্রাক্ষাপটে আমারা তিনটি মাধ্যম ব্যবহার করতে পারি।
সুতরাং, আমি সবগুলি পেমেন্ট মেথড নিয়ে আলোচনা করছি না। আমাদের জন্য যে উপায়গুলি আছে সেগুলিই আলোচনা করছি।
তবে,
গুগল এডসেন্সের কিছু টার্মস আছে, যেগুলি পুরন করলেই আপনি টাকা তুলতে পারবেন।
ডলার জমা হলেই যে আনা যাবে এমন নয়। টাকা আনতে হলে কিছু শর্তপূরণ করতে হবে।
এডসেন্স এর টাকা পাঠানোয় সিস্টেমটি সহজ। তেমন কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না। তবে ভেরিফিকেসন ও পেমেন্ট প্রসেস নতুনদের জন্য ঝামেলার মনে হতে পারে। তাই, এটি নিয়ে আগে আলোচনা করা হলো।
এখানে টাকা আনার জন্য যেসব শর্তাবলী আছে সেগুলি বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
প্রথমত, আপনাকে এডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করে Approve করে নিতে হবে। এটি পেতে আপনাকে দুইটি ধাপ অতিবাহিত করতে হবে।
যেহেতু, গুগোল অ্যাড একটি কন্টেন্ট ভিত্তিক প্লাটফর্ম। অ্যাকাউন্ট তৈরি করার আগে ওয়েব সাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে প্রযাপ্ত পরিমান টেক্সট, পোস্ট বা ভিডিও কন্টেন্ট থাকতে হবে।
এরপরে আপনাকে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে। বর্তমান সময়ে, গুগলে পাবলিশার নেটওয়ার্কএর সব সাইটগুলি ম্যানুয়ালি চেক করা হয়।
এই ধাপে apploved হলে আপনার সাইটে বা ভিডিওতে অ্যাড কোড বসাতে পারবেন।
বিদ্রঃ প্রতিটি সাইটের জন্য আলাদাভাবে approval নিতে হবে।
আপনার পাবলিশার অ্যাকাউন্ট ১০ ডলার ($10) আয় হলে, আপনার ঠিকানা ভেরিফিকেশন চাইবে।
এই পদ্ধতিটা মাঝে মাঝে বেশ জটিল, অনেকে Address Verification বা পিন এ গিয়ে আটকে থাকেন। গুগল আপনার ঠিকানায় ডাক (চিঠি) এর মাধ্যমে একটি গোপন পিন কোড পাঠাবে। আর এই পিন ব্যবহার করে আপনার ঠিকানা ভেরিফাইড করে নিতে হবে।
সুতরাং, আপনার পেমেন্ট এড্রেস দেবার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন। ওই ঠিকানাতে কোন চিঠি আসলে সেটা আপনি পাবেন নিশ্চিত হয়ে নিন।
আপনার আয় ১০০ ডলার ($100) হয়ে গেলে আপনি টাকা তোলার যে মাধ্যমটি অ্যাকাউন্টে দিবেন সেটাতে পাঠাবে।
এখানে কিছু কিন্তু আছে,
১. আপনি যেমাসে ১০০ ডলার রেভিনিঊ করতে পারবেন, তার পরের মাসে ২১-২৬ তারিখের মধ্যে টাকা পাঠাবে।
২. কোন মাসে ১০০ ডলার উপার্জন না করতে পারলে সেটা balance এ থাকবে, ও পরবর্তী মাসের সাথে যোগ হয়ে যাবে।
৩. টাকা পাঠানোর পরে গুগল মেইল দিয়ে, আপনাকে জানিয়ে দিবে। তবে টাকা কবে পাবেন সেটা পেমেন্ট মাধ্যম ও পেমেন্ট হোস্ট (যেমন ব্যাংক) এর উপরে নির্ভর করবে।
Pro Tip: প্রথম ধাপে, পাবলিশার account আপ্রুভ হয়ে গেলেই, পেমেন্ট এর জন্য একটি মাধ্যম অ্যাড করে নিতে হবে। কারন, এটি না করলে সকল শর্তপূরণ হলেও টাকা পাবেন না।
আপনার রেভিনিউ যখন উপরের শর্তসমুহ পূরণ করবে, স্বয়ংক্রিয় ভাবে পেমেন্ট অ্যাকাউন্ট এ পাঠানো হবে। আপনার কিছু করা লাগবে না।
এখন আসুন জানি পেমেন্ট অ্যাকাউন্ট এ কি কি মাধ্যম ব্যবহার করবেন।
এখানে, আমি সবচেয়ে জনপ্রিয় তিনটি মাধ্যমে টাকা আনার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করছি।
Swift code আছে অর্থাৎ অনলাইন ব্যাংকিং সাপোর্ট করে এমন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকেলে, এটি ব্যবহার করে আপনি টাকা আনতে পারবেন।
সুতরাং, নিশ্চিত হয়ে নিন Swift code আছে কিনা বা থাকলে সেটা কি।
যা যা লাগবেঃ
১. Bank Account Holder Name,
২. Bank Name,
৩. Bank Account Number,
৪. BIC (Bank Identifier Code (BIC) The SWIFT-BIC
Recommended ব্যাংক সমুহঃ
১. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ
২. Dutch-Bangla Bank Ltd.
৩. পেয়নিয়ার
রকেট(Roket Mobile Banking ) ডাচ বাংলা ব্যাংক এর মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম।
এটি বিকাশ(Bkash) এর মতো, কিন্তু বিকাশে অ্যাকাউন্ট নাম্বার ১১ ডিজিট এর হওয়ার এটি ব্যবহার করে টাকা আনা যায় না। তবে, রকেট অ্যাকাউন্ট এর ডিজিট ১২ ও এটি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হওয়ার, আপনি সরাসরি রকেটে টাকা আনতে পারবেন।
যে সব তথ্য লাগবে
১. Roket Account Holder Name,
২. Bank Name,
৩. Rocket Number,
৪.SWIFT code
রকেটেরে সুইফট কোড DBBLBDDH ।
যদিও আমার প্রথমদিকের পেমেন্ট গুলি চেক এর মাধ্যমে আনা, তবে এটি আমি আর এটি ব্যবহার করি না।
কারন, প্রচুর সময়লাগে - চেক হাতে পেতে ও চেক ভাঙিয়ে টাকা তুলতে (১০ কর্মদিবস )। আবার চার্জ ও তুলনামুলক বেশি।
অ্যাডসেন্স + ব্লগিং করে ইন্টেন্সিভ ইনকাম করা যায়। আর টাকা আনা খুব কঠিন কাজ না। যদি আপনি অনলাইন থেকে আয় করা শুরু করতে চান বা বাড়াতে চান এসইও শেখার বিকল্প নাই।
যাইহোক আজ এখানেই শেষ, ভাললাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না, ও প্রস্ন থাকেল নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Khub e valo hoyese vai